নতুবা এ যুদ্ধ গ্রাহকদের উপর ‘বিপর্যয়কর’ প্রভাব ফেলবে বলেও সতর্ক করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১৭৩টি জুতা কোম্পানি ট্রাম্পকে চিঠিতে ওই অনুরোধ করে বলে জানায় বিবিসি।
চিঠিতে তারা বলেন, চীন থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হলে শ্রমিজীবী মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
উচ্চমাত্রায় শুল্কারোপের কারণে কিছু কিছু ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
ওয়াশিংটন ও বেইজিং ৯০ দিনের আলোচনায় দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হওয়ায় পর সপ্তাহখানেক আগে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে ২০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, চীন আগামী ১ জুন থেকে মার্কিন পণ্য আমদানির উপর ৬ হাজার কোটি ডলার মার্কিন ডলার শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা জুতা কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে চীন থেকে জুতা আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্ক ১১ শতাংশের কিছু বেশি। নতুন শুল্কারোপের ফলে সেটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
চিঠিতে বলা হয়, “২৫ শতাংশ কর বড়ানো হলে আমেরিকার শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে তাদের জুতা কিনতে প্রায় শতভাগ শুল্ক দিতে হবে। এটা তাদের সধ্যাতীত। এই বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করার সময় হয়েছে।”
এ মাসের শুরুতে শুল্ক বাড়ানোর সময় ট্রাম্প তার দেশের কোম্পানিগুলোকে খরচ কমানোর পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তারা চীন থেকে তাদের কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করলেই পারে।
এ বিষয়ে জুতা প্রস্তুতকারী এবং বিপণন কোম্পানিগুলো বলে, “জুতা শিল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হয়। বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পনার পর উৎপাদন স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। শুধু কারখানা স্থানান্তর করে কোম্পানিগুলো এ ধরনের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না।”