সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

সিরিয়ার সরকার সম্ভবত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়ার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2019, 08:46 AM
Updated : 22 May 2019, 08:59 AM

এরমধ্যে রোববার উত্তরপশ্চিম সিরিয়ায় ক্লোরিন হামলার একটি অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত বলে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রাসায়নিক হামলার ঘটনা সত্য, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে ওয়াংশিংটন ও তার মিত্ররা ‘দ্রুততার সঙ্গে যথাযথ’ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে বলে বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মর্গান ওর্তেগাস বলেছেন, “আসাদ সরকার সম্ভবত তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার পুনরায় শুরু করেছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিয়মিত এমন ইঙ্গিত দেখছি আমরা। এরমধ্যে ১৯ মে সকালে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে একটি ক্লোরিন হামলার অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত।

“ওই ঘটনার বিষয়ে এখনও তথ্য সংগ্রহ করছি আমরা, কিন্তু আমাদের হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তি করছি যে যদি আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্ররা দ্রুততার সঙ্গে যথাযথ জবাব দিবে।”

ওর্তেগাস জানিয়েছেন, বৃহত্তর ইদলিব এলাকায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীগুলো তীব্র অভিযান শুরু করেছে, ক্লোরিন হামলার যে অভিযোগ এসেছে তা ওই অভিযানেরই অংশ।

এই অভিযানের মাধ্যমে আসাদ সরকার একটি অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে লাখ লাখ বেসামরিককে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওর্তেগাস।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উত্তরপশ্চিম সিরিয়ার সম্প্রদায়গুলোর বিরুদ্ধে সরকারি হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইস্যু করা প্রথম হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্র পুনরাবৃত্তি করছে যে, ইদলিবের ডি-এক্সেলেশন জোনের বিরুদ্ধে হামলা লড়াইয়ের বেপরোয়া বৃদ্ধি হতে পারে যা ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীলতার হুমকিতে ফেলতে পারে।”

এর আগে আসাদের বিরুদ্ধে তোলা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসন এপ্রিল, ২০১৭ ও এপ্রিল, ২০১৮-তে দুইবার সিরিয়ার ওপর বোমা হামলা চালিয়েছিল।

ইদলিব সিরিয়ার বিদ্রোহীদের শেষ শক্ত ঘাঁটি। সেখানে সিরিয়ার সরকার বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র প্রস্তুত করছে এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্টের এসব বিবৃতির বিষয়ে সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।