ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে আটক করার আর্জি সুইডিশ কৌঁসুলিদের

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তকারী সুইডিশ কৌঁসুলিরা অ্যাসাঞ্জের অনুপস্থিতিতেই তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিতে স্থানীয় আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2019, 09:22 AM
Updated : 20 May 2019, 09:22 AM

সোমবারের এই আর্জিটি গৃহীত হলে তা অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেন থেকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বলে মন্তব্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

অ্যাসাঞ্জ এখন ব্রিটেনের কারাগারে আছেন। সেখানে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে ৩৫০ দিনের কারাবাসের দণ্ড ভোগ করছেন তিনি।  

সুইডেন গত সপ্তাহে ওই ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত ফের শুরু করে। ২০১০ সালে প্রথম এই অভিযোগটি আনা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিলে মামলা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না মনে করে ২০১৭ সালে সুইডেন মামলাটি খারিজ করেছিল।

সোমবার এক বিবৃতিতে সহকারী প্রধান কৌঁসুলি এভা-মারি পারসন বলেছেন, “সম্ভাব্য ধর্ষণ ঘটনার সন্দেহভাজন হিসেবে অস্যাঞ্জকে তার অনুপস্থিতিতে আটকাদেশ দিতে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছি আমি।”

আদালত তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিলে তিনি অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের কাছে আত্মসমর্পন করানোর জন্য ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন বলে জানিয়েছেন পারসন। 

ধর্ষণের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাসাঞ্জ। সাত বছর একুয়েডর দূতাবাসে থাকার পর ৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জকে গত মাসে নানা অভিযোগে ওই দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর লন্ডন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।

যার মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধসম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরো ৪০ হাজার নথি ছিল। যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়।

কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ করে গোপন তথ্য চুরি এবং তা অবৈধভাবে প্রকাশ করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে দোষীসাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ অস্যাঞ্জকে তাদের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ করেছে। এখন সুইডেন ধর্ষণের মামলা পুনরুজ্জীবিত করায় অ্যাসাঞ্জ সুইডেন হয়ে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গিয়ে পড়তে পারেন বলে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।