আত্মহত্যা করার আগে ওই কিশোরী ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ারদের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন,“মরব না বাঁচব?” পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “সত্যিই জরুরি। ডি/এল বেছে নিতে আমাকে সাহায্য করুন। ডি/এল মানে ডেথ/লাইফ।”
অনেকেই মজা ভেবে ‘ডি’ বেছে নিয়েছিলেন। ৬৯ শতাংশই ডি বেছে নেন। অর্থাৎ, মৃত্যুর পক্ষে ভোট দেন। এর কয়েক ঘন্টা পরই আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। সোমবার রাতে উঁচু একটি বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেয় সে।
অভিনব পন্থায় আত্মহত্যা করা এ কিশোরীর কোনো নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সারাওয়াক প্রদেশের পুলিশ আত্মহত্যার এ খবর জানিয়েছে।
জেলার পুলিশ প্রধান আইদিল বলাশান বলেন,“মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে আমরা দেহের ময়নাতদন্ত করছি।” কিশোরীটি বিষন্নতায় ভুগছিল বলেও জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার এক আইনজীবী এবং এমপি রামকারপাল সিং এক বিবৃতিতে বলছেন,“ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের যারা ডি বেছে নিয়েছে তাদেরকে ওই কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য দোষী ঠাওরানো যায়।তারা আত্মহত্যা না করার পরামর্শ দিলে আজও মেয়েটি বেঁচে থাকত।”
মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী সাঈদ সাদিক আব্দুল রহমান ঘটনাটির তদন্ত আহ্বান করেছেন এবং বলেছেন,“এরকম একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেশে বাড়তে থাকা আত্মহত্যার হার এবং তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।”
মালয়েশিয়ার আইনের আওতায় অল্পবয়সী কাউকে আত্মহত্যায় প্রয়োচণা দেওয়ার অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার মৃত্যুদণ্ড কিংবা ২০ বছরের জেল অথবা জরিমানা হতে পারে।