ইরাক থেকে দূতাবাসের কিছু কর্মী সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস এবং ইরবিলের কনস্যুলেট থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

>>রয়টার্স
Published : 15 May 2019, 11:32 AM
Updated : 15 May 2019, 01:04 PM

দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। ইরান-সমর্থিত বাহিনীর কাছ থেকে হুমকি নিয়ে কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র বুধবার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরাক ছাড়তে বলা হয়েছে ওই কর্মীদেরকে। তবে তাদের সংখ্যা কত তা জানানো হয়নি।

প্রাথমিকভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে ইরাকে পোস্টিং পাওয়া ফুল-টাইম কূটনীতিকরা এ নির্দেশের আওতায় পড়ছেন। তাছাড়া, এ নির্দেশের ফলে সাময়িকভাবে ইরাকে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে নিরাপত্তা, খাদ্য ও অন্যান্য সেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে দূতাবাসের বিবৃতিতে।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর ইরানের আসন্ন হুমকি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের প্রথম কাজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা জানি ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর আমাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আছে।

“কিন্তু এই হুমকি গুরুতর এবং আমরা ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে চাই।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত বছর ইরান পরামণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং দেশটির উপর মার্কিন সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।

তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ ইরানকে চাপে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে নতুন করে আরো কঠোর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যা নিয়ে চিরবৈরী দুই দেশ আবারও মুখোমুখি অবস্থানে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে তাদের একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে, বোমারু বিমানও পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের পক্ষ থেকে হুমকির সুরে বলা হয়, উপসাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি এতদিন গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন এটি একটি নিশানায় পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীও একাধিকবার ইরাকে অবস্থিত তাদের কর্মকর্তারা ইরানের হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

যদিও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কামন্ডার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদিও মঙ্গলবার আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যে ইঙ্গিত পেয়েছেন তাতে উত্তেজনা দেখা দিলেও ‘শেষপর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাকভাবে শেষ হবে’।