ইয়েমেন: হোদায়দাহ বন্দর থেকে সরার প্রস্তুতি হুতিদের

ইয়েমেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর হোদায়দাহ থেকে সরার প্রস্তুতি নিচ্ছে হুতি বিদ্রোহীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2019, 02:56 PM
Updated : 11 May 2019, 02:56 PM

ডিসেম্বরে অস্ত্রবিরতির সমঝোতা হওয়ার পর থেকে তা বাস্তবায়নের পথে এটি প্রথম বড় ধরনের পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি হয়, ওই চুক্তিতে দেশটির যুদ্ধরত পক্ষগুলো হোদায়দাহ শহর ও হোদায়দাহের সালিফ ও রাস ইসা বন্দর থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহারে সম্মত হয়।

হুতি ও ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী, উভয়েই অত্যাবশ্যক মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে বন্দরটি থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহারে রাজি হয়ে ওই অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সায় দেয়।

ইয়েমেনের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের জীবন হোদায়দাহ বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। যুদ্ধের কারণে এই বন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। 

হোদায়দাহ বন্দরের বিশাল একটি গুদামে ৩৭ লাখ লোককে এক মাস খাওয়ানোর মতো যথেষ্ট খাদ্যশস্য আছে। কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মীরা গত পাঁচ মাস ধরে ওই গুদামের কাছে যেতে পারছে না। ওই গুদামে তাদের প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ বারবার যুদ্ধরত উভয় পক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছিল, দেরিতে খাদ্যশস্যগুলো পচে যেতে পারে বলে সতর্কও করেছিল তারা।

শেষ পর্যন্ত হুতি বাহিনীগুলো সরে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিতের মধ্যে দিয়ে শনিবার যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আশা দেখা দিয়েছে।

হুতি বাহিনীগুলো প্রত্যাহারে মোট চার দিন লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে প্রত্যাহার শুরু হয়েছে কি না, জাতিসংঘ এখনও তা নিশ্চিত করেনি। ইয়েমেন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি শুরু হওয়া প্রক্রিয়াটিকে ‘প্রথম পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন। শুরু হওয়া প্রক্রিয়া যে কোনো সময় ‘ভেস্তে যেতে’ পারে, এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

হুতি বাহিনীগুলোর হোদায়দাহ থেকে সরে যাওয়ার একতরফা সিদ্ধান্ত অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পথে প্রথম বড় ধরনের পদক্ষেপ। অবশেষে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় সমস্যা সমাধানের আশা জাগছে।

গত চার বছর ধরে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ জন বেসামরিক নিহত ও ১০, ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে ভাষ্য জাতিসংঘের।

অপুষ্টি, অসুখ ও ভগ্নস্বাস্থ্যের মতো নিরাময় যোগ্য কারণে আরও কয়েক হাজার বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে।