তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেত্রী মীনাক্ষি লেখা। নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এ মামলাই বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল।
তিন পাতার হলফনামায় রাহুল গান্ধী বলেছেন, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং অসাবধানতাবশত তার মন্তব্যের সঙ্গে রাফাল মামলার রায়ের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। সে জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। সুপ্রিম কোর্টকে সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন তিনি।
শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানির আগেই বুধবার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এ হলফনামা দাখিল করেছেন রাহুল।
ভোটের প্রচারের মধ্যে মোদীকে উদ্দেশ্য করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের জন্য এর আগে রাহুল সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেও সেখানে তিনি নিজেকে 'অনুতপ্ত’ বলেছিলেন। কিন্তু ক্ষমা চাননি। এরপরই বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে যায়। আর তাই এবার তাকে ক্ষমা চাইতেই হল।
রাফাল যুদ্ধবিমান মামলায় বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিকৃত করে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘চোর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টও এবার মোদীকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়েছে তা রায়ে প্রমাণ হয়ে গেছে।
রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সরকারের মুক্তির আগের রায়টি সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তি উপেক্ষা করে পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর এ রায়ই পরোক্ষোভাবে মোদীকে ‘চোর’ প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করে বসেছিলেন রাহুল।
রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বরাবরই তুলে আসছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। ভোটের প্রচারে দীর্ঘদিন ধরেই নাম না করে নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলতে ছাড়ছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।