চীনে আরেক কানাডীয়র মৃত্যুদণ্ড

চীনের একটি আদালত মেথামফেটামাইন উৎপাদন ও পাচারের দায়ে অভিযুক্ত কানাডার এক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2019, 11:44 AM
Updated : 30 April 2019, 11:44 AM

সাজা পাওয়া ফ্যান ওয়েই ছেলে না মেয়ে তা জানা যায়নি।

মাদক সংশ্লিষ্ট মামলায় চীনের আদালত এ নিয়ে চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় কানাডীয়র মৃত্যুদণ্ড দিল।

জিয়াংমেনের ওই আদালত মঙ্গলবার ৫ বিদেশিসহ আরও দশজনকে সাজা দিয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝৌ কানাডায় আটক হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

বেইজিং মৃত্যুদণ্ডের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছে অটোয়া। 

এর আগে জানুয়ারিতে মাদক চোরাচালানের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া লয়েড শেলেনবার্গের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

শেলেনবার্গের দণ্ড বাড়ানোর ওই সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

বেইজিং তার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘কানাডা দ্বিচারিতার চর্চা’ করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ এনেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ডিসেম্বরে ভ্যাঙ্কুবার বিমানবন্দর থেকে ওয়ানঝৌকে গ্রেপ্তার করে কানাডার পুলিশ।

এ নিয়ে চীন ও কানাডার মধ্যে যে কূটনৈতিক বিবাদ চলছে, চার মাসে দুই কানাডীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘটনা তাতে আরও হাওয়া দেবে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের।

চীন তাদের জাতীয় নিরাপত্তা লংঘনের দায়ে কানাডার আরও দুই নাগরিককে আটক করেছে। এরা হলেন- ব্যবসায়ী মাইকেল স্পেভর ও সাবেক কূটনীতিক মাইকেল করভিগ।

মঙ্গলবার জিয়াংমেনের ইন্টারমিডিয়েট পিপলস আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ফ্যান ওয়েইকে মাদক চোরাচালান চক্রের শীর্ষ নেতা হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেন।

ওই মামলায় উ জিপিং নামে আরও একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। জিপিংয়ের জাতীয়তা জানা যায়নি।

আদালত এক মার্কিনি ও চার মেক্সিকানসহ নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও দেয়। এদের সবাইকে ২০১২ সালে আটক করা হয়েছিল; বিচার শুরু হয়েছিল ২০১৩ থেকে।