রোবারের ওই হামলায় ২৯০ জন নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়েছে আরো ৫শ' মানুষ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ শেষের পর থেকে গত রোববার দেশটিতে সবচেয়েভয়াবহ এ বোমা হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কায় যে সব হোটেল এবং গির্জায় বিদেশি পর্যটকরা থাকে সেগুলোতে কয়েকটি আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। কলম্বোর অভিজাত শাংরি লা হোটেলসহ তিনটি গির্জা ও দুইটি হোটেলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে।
দক্ষিণ এশিয়া এবং এর বাইরের অঞ্চলগুলোতে এর আগেও এমন গির্জা এবং বিলাসবহুল হোটেলগুলো ইসলামিক জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্য হয়েছে।
"শ্রীলঙ্কায় এমন সমন্বিত হামলা সাধারণ কোনো হামলা নয়।মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এ ধরনের হামলাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, শ্রীলংকায় হামলারধরণ ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-কায়দার চালানো হামলার সঙ্গেই মিলে যায়,” বলেছেন, সন্ত্রাস-বিরোধী বিশেষজ্ঞ অ্যাল্টো লাবেতুবন। তিনি এ দুটি জঙ্গি গোষ্ঠীনিয়ে দশকব্যাপী গবেষণা করেছেন।
এশিয়ার সন্ত্রাস-বিরোধী এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ হামলা এমন একটি জঙ্গি গোষ্ঠী চালিয়েছে যাদের ”অভিযান পরিচালনার দক্ষতা আছে এবং যাদের দক্ষ কমান্ডারআছে।”
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কার্যালয় বলেছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোতে শ্রীলঙ্কায় হামলার পেছনে বিদেশি সংগঠনগুলো জড়িত থাকার আভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ রোববার স্বীকার করেছেন যে, স্বল্প পরিচিত একটি ইসলামিক গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে বলে আগেই আভাস পেয়েছিল সরকার।
ওদিকে, সিঙ্গাপুরের এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলছেন, শ্রীলংকান গ্রুপটি শ্রীলংকার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা এবং শ্রীলংকানদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের যোগ আছে। যারা সিরিয়া এবং ইরাকে কট্টর এ গোষ্ঠীটির সঙ্গে যোগ দিতে মধ্যপ্রাচ্যও সফর করেছে।