শুক্রবার আদালতের কাছে দুই বছর আগে স্বামীকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেন ৪৭ বছর বয়সী মালিসা আনকোনা, খবর বিবিসির।
দ্বিতীয় মাত্রার হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অভিযোগ দোষ স্বীকারের পর আনকোনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তার ছেলে পল জিনকারসন হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বলে প্রথমে দাবি করেছিলেন তিনি, কিন্তু শুক্রবার আদালতকে তিনি জানান, ঘটনাটি সে রকম নয়।
তার ছেলে জিনকারসনের বিচার এখনও চলছে।
তার স্বামী ফ্রাঙ্ক আনকোনা কু ক্লক্স ক্লানের স্বঘোষিত সর্বোচ্চ পদমর্যাদার নেতা ‘ইম্পেরিয়াল উইজার্ড’ ছিলেন। তাকে নিজের শয়নকক্ষে গুলি করে হত্যার পর লাশ একটি নদীর তীরে ফেলে রাখা হয়েছিল।
সেন্ট লুই পোস্ট ডিসপ্যাচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌঁসুলিদের সঙ্গে সমঝোতার পর আনকোনা শুক্রবার সেন্ট ফ্রাঁসোয়া কাউন্টি সার্কিট আদালতে দ্বিতীয় মাত্রার খুন, প্রমাণ লোপাট ও লাশ ফেলে দেওয়ার দায়ে দোষ স্বীকার করেন।
“আমার স্বামীর মৃত্যু হয় যে দুটি গুলিতে তা আমিই ছুড়েছিলাম,” আদালতে বিচারক ওয়েন্ডি ওয়েক্সলার হর্নকে আনকোনা এমনটিই বলেছেন বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বামীর লাশ নিকটবর্তী বেলগ্রাদে ফেলে দেওয়ার আগে মিজৌরির লেডউডের বাড়ির দেয়াল পরিষ্কার করার ও বিছানাপত্র পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেন তিনি।
হত্যার পর তার ৫১ বছর বয়সী স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ফেইসবুকে পোস্টও দেন।
আদালতের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, ফ্রাঙ্ক বিবাহ বিচ্ছেদ চান বলে মালিসাকে জানিয়েছিলেন।
প্রথমে ছেলে জিনকারসন গুলি দুটি করেছিল বলে মালিসা জানিয়েছিলেন এবং ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন।
ফ্রাঙ্ক আনকোনা কট্টর বর্ণবাদী গোষ্ঠী ট্রাডিশনালিস্ট আমেরিকান নাইটস অব দ্য কু ক্লাক্স ক্লানের (টিএকেকেকেকে) সদস্য ছিলেন। এই গোষ্ঠীটি নিজেদের ‘শ্বেত স্বদেশপ্রেমী খ্রিস্টান সংঘ’ বলে দাবি করে থাকে।