নতর-দামের ছাদ পুড়লেও বেঁচেছে মৌমাছি

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আগুনে ঐতিহাসিক স্থাপনা নতর-দাম ক্যাথেড্রালের চূড়া ভেঙে পড়ে ছাদের অধিকাংশ পুড়ে গেলেও গির্জাটির সবচেয়ে ছোট্ট বাসিন্দারা রক্ষা পেয়েছে। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2019, 03:46 PM
Updated : 20 April 2019, 04:36 PM

গির্জাটির ছাদে অনেকগুলো চাকে বসবাসকারী প্রায় দুই লাখ মৌমাছিও পুড়ে শেষ হয়ে গেছে বলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে আর গুনগুন করছে বলে নিশ্চিত করেছেন গির্জাটির মৌমাছিপালক নিকোলা জেও; জানিয়েছে বিবিসি।

২০১৩ সালে গির্জাটির ছাদে মৌমাছির তিনটি চাক বাঁধার পর থেকে জেও সেগুলো দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। প্যারিসজুড়ে মৌমাছির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এ কাজটি করছিলেন তিনি। 

গত সোমবার আগুনে পুড়ে যায় প্যারিসের কয়েক শতাব্দীর পুরনো নতর-দাম ক্যাথেড্রাল; ছবি: রয়টার্স

প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই ক্যাথেড্রালে গত সোমবার বিকালে আকস্মিকভাবে আগুন লেগে তা পুরো গির্জা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরই এক পর্যায়ে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সাড়ে আটশ বছরের পুরনো গির্জাটির উঁচু মিনার ও ছাদ ধসে পড়ে। ধ্বংস হয়ে যায় কয়েক শতাব্দীর পুরনো ঐতিহ্য।

চাকগুলো নতর-দামের দক্ষিণ পাশের সাক্রিস্টির শীর্ষে ছিল, আর এ জায়গাটি গির্জাটির ছাদের প্রায় ৩০ মিটার নিচে থাকায় আগুন থেকে বেঁচে যায় বলে জানিয়েছেন জেও।

বিবিসি বলছে, ইউরোপীয় মৌমাছিরা বিপদ টের পেলে তাদের চাকে গিয়ে ‍যতটা সম্ভব মধু পান করে নেয় এবং রানি মৌমাছিকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।

উচ্চ তাপমাত্রা মৌমাছিগুলোর জন্য বিপদের কারণ হতে পারত, কিন্তু ধোঁয়া মৌমাছিগুলোকে মত্ত করে তোলে বলে জানান জেও। 

তিনি বলেন, “মারার বদলে কার্বন ডাই অক্সাইড তাদের মাতাল করে দেয়, এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।”

সাধারণত এ কারণেই চাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে ধোঁয়া ব্যবহার করা হয়।

“নতর-দামের ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিলাম, এত সুন্দর একটি ভবন। কিন্তু যখন শুনলাম মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে, চমৎকার অনুভূতি হয়েছিল। আগুন ওদের ম্পর্শ করেনি, এটি সত্যি বিস্ময়কর,” বলেছেন তিনি।