গির্জাটির ছাদে অনেকগুলো চাকে বসবাসকারী প্রায় দুই লাখ মৌমাছিও পুড়ে শেষ হয়ে গেছে বলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে আর গুনগুন করছে বলে নিশ্চিত করেছেন গির্জাটির মৌমাছিপালক নিকোলা জেও; জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৩ সালে গির্জাটির ছাদে মৌমাছির তিনটি চাক বাঁধার পর থেকে জেও সেগুলো দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। প্যারিসজুড়ে মৌমাছির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এ কাজটি করছিলেন তিনি।
চাকগুলো নতর-দামের দক্ষিণ পাশের সাক্রিস্টির শীর্ষে ছিল, আর এ জায়গাটি গির্জাটির ছাদের প্রায় ৩০ মিটার নিচে থাকায় আগুন থেকে বেঁচে যায় বলে জানিয়েছেন জেও।
বিবিসি বলছে, ইউরোপীয় মৌমাছিরা বিপদ টের পেলে তাদের চাকে গিয়ে যতটা সম্ভব মধু পান করে নেয় এবং রানি মৌমাছিকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
উচ্চ তাপমাত্রা মৌমাছিগুলোর জন্য বিপদের কারণ হতে পারত, কিন্তু ধোঁয়া মৌমাছিগুলোকে মত্ত করে তোলে বলে জানান জেও।
তিনি বলেন, “মারার বদলে কার্বন ডাই অক্সাইড তাদের মাতাল করে দেয়, এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।”
সাধারণত এ কারণেই চাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে ধোঁয়া ব্যবহার করা হয়।
“নতর-দামের ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিলাম, এত সুন্দর একটি ভবন। কিন্তু যখন শুনলাম মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে, চমৎকার অনুভূতি হয়েছিল। আগুন ওদের ম্পর্শ করেনি, এটি সত্যি বিস্ময়কর,” বলেছেন তিনি।