গার্সিয়ার (৬৯) বিরুদ্ধে ব্রাজিলের কন্সট্রাকশন কোম্পানি ‘ওদেব্রাচ’ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে গত সপ্তাহে আদালত তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিল। গার্সিয়া বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
বুধবার ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গার্সিয়াকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন বলে জানায় বিবিসি।
মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে রাজধানী লিমার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ‘গার্সিয়া মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং তার অস্ত্রপচার হওয়ার’ কথা জানায়।
গার্সিয়ার খবরাখবর জানতে হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছিল তার সমর্থকরা। কয়েকঘন্টা পর গার্সিয়ার রাজনৈতিক দলের সদস্যরা তার মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করেন।
গার্সিয়ার মৃত্যুতে দেশটির সরকার পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শোক প্রকাশ করে গার্সিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পেরুর প্রেসিডেন্ট।
গার্সিয়া প্রথম মেয়াদে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় মেয়াদের সময় রাজধানী লিমাতে একটি মেট্রো রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়া জন্য তিনি ব্রাজিলের ‘ওদেব্রাচ’ কোম্পানি থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন।
‘ওদেব্রাচ’ কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সাল থেকে পেরুকে প্রায় তিন কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। যদিও গার্সিয়া শুরু থেকেই বলেছেন, তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন।