দেশটিতে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর এ দাবি উঠল।
আর্মি চীফ অব স্টাফ লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ গায়েদ সালাহ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করা এবং তার স্থলে ৪৫ দিনের জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন।
টিভিতে এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদেরকে সংকট থেকে খুব দ্রুত বের হয়ে আসার একটি পথ খুঁজে পেতেই হবে।”
প্রেসিডেন্ট অবশ্য ইতোমধ্যেই দেশের আসন্ন নির্বাচনে পঞ্চম মেয়াদের জন্য না লড়তে রাজি হয়েছেন। নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরীতে শুরু হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা একে প্রেসিডেন্টের ২০ বছরের শাসন দীর্ঘায়িত করার চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছে।
আব্দুলআজিজ বোতেফ্লিকা ১৯৯৯ সাল থেকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১৮ এপ্রিল আলজেরিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।
৮২ বছরের বোতেফ্লিকা শুরুতে পঞ্চম মেয়াদের জন্য প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে।
বাধ্য হয়ে গত ১১ মার্চ তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন। যদিও একই সঙ্গে তিনি বিক্ষোভের অজুহাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। যা পুনরায় বিক্ষোভ উস্কে দেয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নির্বাচন স্থগিত করে বোতেফ্লিকা নিজের শাসনামল বাড়াতে চাইছেন। সেনাপ্রধান গায়েদ সালাহ যখন চ্যানেল ১৩ তে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার সঙ্গে ছিলেন।
লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল গায়েদ সালাহ বলেন, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সংবিধানই একমাত্র পথ। তিনি এক্ষেত্রে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ ব্যবহারের কথাও বলেন।
“এই সমাধান সবার সমর্থন পেয়েছে এবং অবশ্যই সবাই এটি গ্রহণ করবে।”
আলজেরিয়ার সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যদি বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশ পরিচালনায় অক্ষম হন তবে সাংবিধানিক পরিষদ প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারবে।
বিবিসি জানায়, ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট বোতাফ্লিকার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকে তাকে জনসম্মুখে খুব কমই দেখা গেছে।
গত এক মাস ধরে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভের মধ্যে সেনাবাহিনীর এ চেষ্টা দেশটির রাজনীতিকে নাটকীয় মোড়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
বিক্ষোভের মধ্যেই এ মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওইউয়াহিয়া পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।