গোলান: ট্রাম্পের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান উপসাগরীয় দেশগুলোর

গোলান মালভূমিকে ‘ইসরায়েলি ভূখণ্ডের’ যে স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে উপসাগরীয় চারটি দেশ।

>>রয়টার্স
Published : 26 March 2019, 02:45 PM
Updated : 26 March 2019, 02:45 PM

এ স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলবে এবং শক্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে বলে সতর্ক করেছে সৌদি আরব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ‘গোলান মালভূমি ইসরায়েলি ভূখণ্ড’ বলে ঘোষণা দেওয়া স্বীকৃতিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে ইসরায়েল। সামরিক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মালভূমিটিকে ইসরায়েল ১৯৮১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডের অর্ন্তভুক্ত করে নিলেও বিশ্ব সম্প্রদায় তা মেনে নেয়নি।

গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে আসছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে তিনি ইসরায়েলের পক্ষে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

উপসাগরীয় চার আরব দেশ সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার ও কুয়েত ট্রাম্পের স্বীকৃতির সমালোচনা করে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, “অধিকৃত ওই ভূমি আরবদের।”

“ওই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া এবং ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় নিশ্চিতভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” সোমবারের স্বীকৃতি জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মনে করে তারা।

ট্রাম্পের স্বীকৃতির সমালোচনা করা চার দেশই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কুয়েত এবং বাহরাইন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জন্য খেদ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, কাতার ইসরায়েলকে গোলান মালভূমি থেকে নিজেদের দখলদারিত্ব সরিয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

উপসাগরীয় চারটি দেশের সঙ্গে ট্রাম্পের পদক্ষেপের নিন্দা-সমালোচনায় সামিল হয়েছে ইরানও। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত এ শতাব্দীতে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছে ইরান।

দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, “আমেরিকার একজন এসে আন্তর্জাতিক আইন এবং নীতির বিপরীতে গিয়ে একটি দেশের ভূখন্ডকে আরেকটি দখলদার দেশকে দিয়ে দিবে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।”