সীমান্তে নতুন দেয়াল নির্মাণ কাজের জন্য পেন্টাগন এ অর্থ ‘ইউএস আর্মি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কে দিয়েছে। ৫৭ মাইল দীর্ঘ দেয়াল তুলতে এ তহবিল ব্যয় করা হবে।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারপ্রাপ্ত পেন্টাগন প্রধান প্যাট্রিক শানাহান আর্মি ইঞ্জিনিয়ার কোর এর কমান্ডারকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এবং কাস্টমস ও বর্ডার পেট্রোলের তরফে দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করা এবং তা বাস্তাবায়নে ১শ’ কোটি ডলার ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছেন।”
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে দেয়াল নির্মাণের অর্থ পাওয়ার জন্য সীমান্ত পরিস্থিতিকে নিরাপত্তায় হুমকি উল্লেখ করে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পর এই প্রথম অর্থ বরাদ্দ পেলেন।
ডেমোক্র্যাটরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের অভিযোগ, পেন্টাগন তহবিল দেওয়ার বিষয়টি কংগ্রেসকে জানানোর আগে যথাযথ কমিটির অনুমতি নেয়নি।
তবে পেন্টাগন তাদের বিবৃতিতে একটি কেন্দ্রীয় আইনের উল্লেখ করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাদক চোরাচালানের মত তৎপরতা ঠেকাতে রাস্তা কিংবা বেড়া নির্মাণের এখতিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের আছে।
মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন রুখতে ‘যে কোনো মূল্যে’ স্থায়ী বেড়া নির্মাণ ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। নির্মাণ কাজ শুরু করতে চলতি বছর কংগ্রেসের কাছে ৫৭০ কোটি ডলারও চেয়েছিলেন তিনি।
ডেমোক্রেটদের সঙ্গে এ নিয়ে মতদ্বৈততায় গত বছরের শেষ থেকে টানা ৩৫ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থায় ‘অচলাবস্থা’ দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আরেক দফা অচলাবস্থা এড়াতে কংগ্রেস সদস্যরা দেয়ালের জন্য ১৩০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিতে সম্মত হলেও তা ট্রাম্পের মনমত হয়নি।
এ কারণেই তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে জরুরি অবস্থা জারির নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন, যাকে ‘ক্ষমতার বড় ধরনের অপব্যবহার’ এবং ‘বেআইনি কাজ’ বলে বর্ণনা করেন ডেমোক্র্যাটরা।
কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, সীমান্ত পরিস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তায় অনেক বড় হুমকি এবং তা মোকাবেলায় দেয়াল কাজে আসবে।
জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, মেক্সিকো থেকে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে মাদক, অপরাধী এবং অবৈধ অভিবাসীর ঢল ঠেকিয়ে দেশকে সুরক্ষিত রাখতেই তিনি জরুরি অবস্থার আদেশে সই করেছেন।