সোমবার প্রথম দফা ‘ব্ল্যাক আউটের’ চার ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলেও রাতে ফের বিপর্যয় দেখা দেয়, জানিয়েছে বিবিসি।
ধারাবাহিক এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য পশ্চিমা মদদপুষ্ট বিরোধীদের নাশকতাকেই দায়ী করে আসছে সরকার।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে লাতিনের দেশটিতে বিক্ষোভ ও লুটপাটের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
বিরোধীরা বলছে, দুই দশক ধরে চলা ভেনেজুয়েলার সোশালিস্ট সরকারের বিনিয়োগহীনতা ও দুর্নীতির কারণেই এখন ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
অর্থনৈতিকভাবে চরম দুর্দশাগ্রস্ত দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোর ক্ষমতার রেষারেষিও এখন চরমে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েকদিন আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গুইদোর চিফ অব স্টাফকে গ্রেপ্তারের পর এ রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কারাকাস ও আশপাশের শহরগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষকে বাসে করে কিংবা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়।
প্রায় চার ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও রাত ৯টা ৫০-র দিকে ফের চলে যায় বলে বার্তা সংস্থাকে ইএফই-কে জানান ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী জর্জ রডরিগুয়েজ।
এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বিরোধীদের দায়ী করেন।
যে প্রধান পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, হ্যাকাররা সে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কম্পিউটারে আক্রমণ চালিয়েছে বলেও জানান রডরিগুয়েজ।
সোমবারের প্রথম দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দ্রুততম সময়ের মধ্যে সামাল দেয়া গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।