মুলারের তদন্ত রিপোর্টের বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় কংগ্রেস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবির ও রাশিয়ার মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার যে তদন্ত প্রতিবেদ জমা দিয়েছেন তা দেখার অপেক্ষায় আছে কংগ্রেস।

>>রয়টার্স
Published : 24 March 2019, 03:29 PM
Updated : 24 March 2019, 03:29 PM

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রোববার কংগ্রেস এবং জনগণের সামনে গোপন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ ছিল এবং ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

যা খতিয়ে দেখতে মার্কিন বিচার বিভাগ মুলারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি ঠিক করে দেয়। মুলারের দল প্রায় ২২ মাস তদন্তের পর শুক্রবার ওই তদন্ত প্রতিবেদন এটর্নি জেনারেলের কাছে জমা দেয়।

রয়টার্স জানায়, অ্যাটর্নি জেনারেল বার শনিবার প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে ওই তদন্ত প্রতিবেদন পড়েছেন।

প্রতিবেদনটি পড়ার পর তিনি সপ্তাহ শেষে সেটির ‘গুরুত্বপূর্ণ ‍উপসংহারের’ সারসংক্ষেপ কংগ্রেসকে জানাতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদনে নতুন কোনো অভিযোগ হাজির করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

মুলার অবশ্য আগেই ট্রাম্পের ছয় সহযোগী ও কয়েক ডজন রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে মুদ্রপাচার, কর ফাঁকি, জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ এনেছিলেন।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর আঁতাত হয়েছিল বলে অনেকেই সন্দেহ করে আসছেন।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টাইন রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর সংযোগ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মুলারকে নিয়োগ দেন।

এ সংক্রান্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্তে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেছিলেন কিনা কিংবা এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে ওই তদন্তের কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বও স্পেশাল কাউন্সেলকে দেয়া হয়।

শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ তদন্তের বিরোধী ছিলেন। তিনি একে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটির নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিবেদনটির উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের জানানোর নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

কমিটির কাছে দেয়া আগের এক সাক্ষ্যে তিনি প্রতিবেদনের সর্বোচ্চ যে পরিমাণ অংশ কংগ্রেস সদস্যদের জানানো সম্ভব, তা জানাবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের জানানো অংশটি কংগ্রেস সদস্যদের কেউ চাইলে নিজ দায়িত্বেই প্রকাশ করতে পারবেন।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া ডেমোক্রেট দলের অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশীই ক্ষমতায় গেলে ট্রাম্প-রাশিয়া সংযোগ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনের পুরোটাই প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।