ট্রাম্প-রাশিয়া সংযোগ: জমা পড়ল মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রিপাবলিকান শিবির ও রাশিয়ার মধ্যে আঁতাত হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মার্কিন বিচার বিভাগের ঠিক করে দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা রবার্ট মুলার তার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2019, 05:00 AM
Updated : 23 March 2019, 05:00 AM

নিয়োগের ২২ মাস পর স্পেশাল কাউন্সেল মুলারের এ দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ল, জানিয়েছে বিবিসি।

অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এখন ওই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তৈরি করবেন। কংগ্রেস সদস্যদের প্রতিবেদনের কতটুক অংশ দেখানো হবে, তাও ঠিক করবেন তিনি।

প্রতিবেদনে নতুন কোনো অভিযোগ হাজির করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

মুলার অবশ্য আগেই ট্রাম্পের ছয় সহযোগী ও কয়েক ডজন রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে মুদ্রপাচার, কর ফাঁকি, জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ এনেছিলেন।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর আঁতাত হয়েছিল বলে অনেকেই সন্দেহ করে আসছেন।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রজেনস্টাইন রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর সংযোগ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মুলারকে নিয়োগ দেন।

এ সংক্রান্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্তে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করেছিলেন কিনা কিংবা এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে ওই তদন্তের কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বও স্পেশাল কাউন্সেলকে দেয়া হয়। 

শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা এ তদন্তের বিরোধী ছিলেন। তাকে একে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর কংগ্রেসের বিচার বিভাগীয় কমিটির নেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিবেদনটির উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের জানানোর নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

কমিটির কাছে দেয়া আগের এক সাক্ষ্যে তিনি প্রতিবেদনের সর্বোচ্চ যে পরিমাণ অংশ কংগ্রেস সদস্যদের জানানো সম্ভব, তা জানাবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেলের জানানো অংশটি কংগ্রেস সদস্যদের কেউ চাইলে নিজ দায়িত্বেই প্রকাশ করতে পারবেন।

মুলারের তদন্ত প্রতিবেদনটির সম্পূর্ণ অংশ জনসমক্ষে প্রকাশের দাবিও করেছেন অনেকে।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া ডেমোক্রেট দলের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীই ক্ষমতায় গেলে ট্রাম্প-রাশিয়া সংযোগ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেলের প্রতিবেদনের পুরোটাই প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।