বিবিসি জানায়, এ ধরনের উড়োজাহাজের দু’দুটো মারাত্মক দুর্ঘটনার পর এ পদক্ষেপ নিচ্ছে গারুদা। বোয়িং ম্যাক্সের অর্ডার আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিলের ঘটনা এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। গারুদা এয়ারলাইরন্সের মুখপাত্র বলেছেন, যাত্রীরা এ উড়োজাহাজের ওপর “আস্থা হারিয়েছে”।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ম্যাক্স ৮ উড়োজাহাজ গত ১০ মার্চ বিধ্বস্ত হয়ে এর ১৫৭ আরোহীর সবাই মারা যাওয়ার পর এ মডেলের বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর মাত্র ৫ মাস আগেও গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ আরোহী নিহত হয়েছিল।
গারুদার মুখপাত্র ইকসান রোশন বলেছেন, “আমরা বোয়িংয়ের কাছে অর্ডার বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় গারুদা এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ উড়োজাহাজের ওপর আর ভরসা পাচ্ছেন না।”
এখন গারুদা এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি। তবে গারুদা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। বোয়িং থেকেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গারুদা এয়ারলাইন্স ২০১৪ সালে বোয়িংয়ের কাছে ৪শ’৯০ কোটি ডলার মূল্যের ৫০ টি বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। সে অর্ডার মোতাবেক তারা এখন পর্যন্ত একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ হাতে পেয়েছে।
এখন গারুদার বাকী বিমানগুলো কেনার অর্ডার বাতিলের এ পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া যাবেন বোয়িং এর কর্মকর্তারা।
ম্যাক্স বোয়িং এর ব্যবহার শুরু হয়েছে দুবছর আগে। এ উড়োজাহাজের আছে এমসিএএস নামের নতুন অটোমেটিক সিস্টেম। একের পর এক দুর্ঘটনার পর এ ধরনের বিমানের অটোমেটিক সিস্টেমের নিরাপত্তা এবংক্রুরা এ ব্যবস্থা ঠিকমত বোঝে কিনা তা ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।