বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোটেল কক্ষে টিভি, হেয়ার ড্রাইয়ারের হাতল ও সকেটে এসব মিনি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পরে ওয়েবসাইট খুলে ওই ভিডিও বিক্রি করে ৬ হাজার ২০০ ডলার আয়ও করেছিলেন তারা।
দোষী প্রমাণিত হলে তাদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ২৬ হাজার ৫৭১ ডলার জরিমানা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গোপনে নগ্ন ছবি ও শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ধারণকে ‘মহামারী’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায়ও নেমেছে মানুষ।
বিবিসিকে কোরিয়ান পুলিশ বলেছে, আসামিরা গত বছর অগাস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি শহরের ৩০টি হোটেলে ১ মিলিমিটারের লেন্স ক্যামেরা বসিয়েছিলেন।
এরপর নভেম্বরে একটি ওয়েবসাইট খুলে ভিজিটরদের বিনামূল্যে ৩০ সেকেন্ড এবং অর্থ দিয়ে পুরো ভিডিও দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। মোট ৮০৩টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এই মাসে ওই ওয়েবসাইট বন্ধ করার আগে তারা ৯৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।