ক্রাইস্টচার্চ হামলা: এরদোয়ানের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চান অ’ডুর্ন

ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান যে মন্তব্য করেছেন, তার ব্যাখ্যা জানতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স তুরস্কে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2019, 09:38 AM
Updated : 20 March 2019, 09:38 AM

=পিটার্স বুধবার তুরস্কে গিয়ে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে আঙ্কারার ব্যাখ্যা চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পিটার্স নিউ জিল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন।

শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে নামাজের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অর্ধশত মানুষকে হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গি অস্ট্রেলীয় ব্রেন্টন ট্যারান্টের (২৮) বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ নিয়ে তুরস্কে এক নির্বাচনী সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোয়ান বলেছেন, নিউ জিল্যান্ড শাস্তি না দিলে তুরস্ক এ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর শাস্তি নিশ্চিত করবে।

নিজ দেশের ৩১ মার্চের স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপলক্ষে নিজ দল ইসলামপন্থি একে পার্টির সমর্থকদের উদ্দীপিত করতে এরদোয়ান একথা বলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্রাইস্টচার্চে হামলার সময় সন্ত্রাসী ট্যারেন্ট ফেইসবুকে হামলার ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করেছিলেন। এরদোয়ানের ওই নির্বাচনী সমাবেশে সেই ভিডিও ফুটেজটিও দেখানো হয়।

“এই মন্তব্যগুলো নিয়ে তুরস্কে আমাদের উপ-প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি কথা বলবেন। তিনি সেখানে যাচ্ছেন সরাসরি, ফেইস টু ফেইস কথা বলতে,” ক্রাইস্টচার্চে সাংবাদিকদের বলেছেন অ’ডুর্ন।  

তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে পিটার একে পার্টির নির্বাচনী সমাবেশে ওই সন্ত্রাসী হামলার ফুটেজ দেখানোর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এ কাণ্ড বিদেশে থাকা নিউ জিল্যান্ডের নাগরিকদের বিপদে ফেলতে পারে।

নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ সত্বেও মঙ্গলবার এরদোয়ানের এক সমাবেশে ফের ট্যারান্টের উগ্রবাদী ইশতেহারের বিস্তৃত বর্ণনা দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে একটি মসজিদে প্রবেশ করতে করতে এ উগ্রবাদী জঙ্গির গুলি চালানোর ফুটেজও।

এরদোয়ানের মন্তব্য তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও তার দেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।

তুরস্কে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত বুধবার দেশটির সরকারের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলীয়দের তুরস্ক ভ্রমণে সতর্কতা জারির বিষয়টিও ক্যানবেরা বিবেচনা করছে বলেও মন্তব্য তার।