সোমবার এক বিবৃতিতে ফেইসবুক এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর বিবিসির।
শুক্রবারের ওই হামলায় অস্ট্রেলিয়ান এক উগ্র ডানপন্থি অর্ধশত মানুষকে হত্যা করে।
বন্দুকধারী দুই মসজিদে হামলার পুরো ঘটনাই নিজের হেলমেটে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন।
ফেইসবুক জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচার শেষ হওয়ারও ১২ মিনিট পর এক ব্যবহারকারী তাদেরকে ওই ভিডিওর ব্যাপারে রিপোর্ট করেন।
ভিডিওটি সরাতে ব্যবস্থা নিতে নিতেই অন্য এক ব্যবহারকারী ১৭ মিনিটের ভিডিওটি একটি ফাইল শেয়ারিং সাইটে আপলোড করে দেন।
ফুটেজটি সরিয়ে নেয়ার আগে এটি সর্বমোট চার হাজার বার দেখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যেই ফেইসবুক সোমবার এ নতুন তথ্য দিল, জানিয়েছে বিবিসি।
ইউটিউব, টুইটারসহ অন্যান্য ভিডিও শেয়ারিং সাইটেও ক্রাইস্টচার্চে হামলার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফেইসবুক এর আগে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় নিউ জিল্যান্ডে হামলার ভিডিওটির ১৫ লাখ কপি সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছিল। আপলোডের সময় আরও ১২ লাখ কপি ব্লক করা হয়।
হামলার পুরো ঘটনা ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার এবং এই ফুটেজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বনেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ইন্টারনেট এভাবে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলতে পারে না।
সন্ত্রাসবাদী হামলায় ইন্টারনেট প্রযুক্তির ‘অনিয়ন্ত্রিত ভূমিকা’ নিয়ে শিল্পোন্নত ২০টি দেশের সম্মেলনে আলোচনা করতে চেয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।
আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে আবের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার কথা।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন ও যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাজিদ জাভেদ।
ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় সোশাল মিডিয়ার দায়িত্বহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে এরই মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক থেকে নিজেদের বিজ্ঞাপনও তুলে নিয়েছে।