বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে অ’ডুন বলেছেন, “সে তার সন্ত্রাসী কর্ম থেকে অনেক কিছু চেয়েছিল, এর একটি কুখ্যাতি- এই কারণেই আমাকে কখনো তার নাম উচ্চারণ করতে শুনবেন না আপনারা।”
গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী এক জঙ্গির হামলায় ৫০ জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় স্বঘোষিত শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টের (২৮) বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নির্বিচার ওই হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর রাজধানী ওয়েলিংটনে প্র্রধানমন্ত্রী অ’ডুর্ন বলেন, “আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, তাদের নাম নিন যারা এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তার নাম নয় যে তাদের প্রাণ নিয়েছে।
পার্লামেন্টের এই বিশেষ বৈঠকে অ’ডুন ‘আসালামু অলাইকুম’ বলে সবাইকে সম্ভাষণ জানান।
ক্রাইস্টচার্চের বন্দুকধারীর মতো রেকর্ডকরা ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার ও শেয়ারিং আটকানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মগুলোকে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শুধু লাভ করবে কিন্তু কোনো দায়দায়িত্ব নিবে না, তা হতে পারে না বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
হামলাকারীর বিরুদ্ধে ‘নিউ জিল্যান্ডের আইনের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করা হবে’ বলে পার্লামেন্ট সদস্যদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
আগামী শুক্রবার ফের আরেকটি জুমার নামাজের দিন এবং হামলার ঘটনারও এক সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার দিন, একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সবাইকে এদিন মুসলিম সম্প্রদায়ের শোকের কথা মনে রেখে চলার অনুরোধও জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
শনাক্তকরণ ও ফরেনসিক ডকুমেন্টেশনের ধীর গতির জন্য এ পর্যন্ত নিহত কারও দাফন করা যায়নি।
ওই দিন যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, কুয়েত, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও অন্যান্য দেশের লোক রয়েছেন।
আরও প্রাণঘাতী করার জন্য খুনি তার ব্যবহৃত সামরিক ধরনের অ্যাসাল্ট রাইফেলগুলো সংস্কার করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নিউ জিল্যান্ডের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এটি অবৈধ নয়।