সোমবার ইউট্রেখট পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম গোকমেন তানিস বলে জানিয়েছে। তার বয়স ৩৭ এবং তাকে কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে।
“আমরা এই মাত্র হামলার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি” বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান রব ভন ব্রী।
তবে তাকে কোথায় আটক করা হয়েছে তা পরিষ্কার জানা যায়নি। তার হামলার উদ্দেশ্যও জানা যায়নি। তবে একজন কৌসুলি বলেছেন, পারিবারিক কারণে ওই ব্যক্তি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
ওদিকে, তুরস্কের রাষ্ট্রপরিচালিত আনাদলু সংবাদ সংস্থা বন্দুকধারীর স্বজনের বরাত দিয়ে বলেছে, সে ট্রামে তার একজন আত্মীয়কে গুলি করে এবং তারপর তাকে সাহায্যকারী অন্যদের গুলি করে।
তার একটি ছবি পুলিশ স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। সেখানে তাকে লোকজনকে তার দিকে না এগুনোর ব্যাপারে সতর্ক করতে দেখা গেছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১১টার দিকে (০৯:৪৫) টোয়েন্টিফোর অক্টোবরপ্লেইন জংশনের কাছে গুলির ঘটনা ঘটে। ট্রামের ভেতর গুলি করার পর বন্দুকধারী গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিরাপত্তার কারণে স্থানীয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে নগরীতে সব ধরনের ট্রেন ও ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও পরে কিছু কিছু যান চলতে শুরু করেছে।
নিরাপত্তা বিবেচনায় নগরীর বিদ্যালয়গুলোর সদর দরজা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নগরীর মসজিদেও পুলিশ পাহারা বাড়ানো হয়েছে।
এ ঘটনার মাত্র তিনদিন আগে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হয়। এখনো গুলিবিদ্ধ প্রায় ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক অস্ট্রেলীয় উগ্র বর্ণবাদী একাই দুই মসজিদে বন্দুক হাতে হামলা চালিয়ে এত মানুষকে হতাহত করে।