শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় ওই দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত ও প্রায় ৩৪ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে একাই এসব হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্দেহভাজন এই জঙ্গির বাড়ি সিডনির ৬০০ কিলোমিটার উত্তরে গ্রাফটন শহরে।
সোমবার সকালে নিউ সাউথ ওয়েলসের কর্তৃপক্ষগুলো গ্রাফটনের নিকটবর্তী স্যান্ডি বিচ ও লরেন্সের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
নিউ জিল্যান্ডের পুলিশের তদন্তে সহায়তা করতে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে।
যে দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তার মধ্যে একটি ট্যারেন্টের বোনের বাড়ি বলে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা তার পরিবার তদন্তে সহযোগিতা করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার গ্রাফটনে ট্যারান্ট পরিবারের দুই সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্বিচার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা ‘স্তম্ভিত’ হয়ে গেছেন।
ট্যারান্টের চাচা টেরি ফিটজেরাল্ড নাইন নিউজকে বলেছেন, “নিহত ও আতহদের জন্য এবং তাদের পরিবারগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা।”
ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে শুধু নরহত্যার অভিযোগ এনে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, তারপর থেকে নিজের আইনজীবীকে বাদ দিয়েছে সে এবং ৫ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার দিন আদালতে নিজেই নিজের পক্ষ হয়ে কথা বলার পরিকল্পনা করেছে।
ভয়াবহ এ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা অ’ডুর্ন একে দেশের ইতিহাসে ‘কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। দেশের ‘অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে’বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ট্যারেন্ট পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক এবং এসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও তার আছে। তার অতীত অপরাধের রেকর্ড নেই এবং সে নিউ জিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা বিভাগগুলোর নজরদারিতেও ছিল না।