শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ট্যারেন্ট শুক্রবার জুমার নামাজের সময় প্রথমে আল নূর এবং পরে লিনউড মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৮ জনকে হত্যা করেন।
প্রাথমিকভাবে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুলিবিদ্ধ ৪৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অর্ধশত হয়েছে।
হামলার দিনই পুলিশ ট্যারেন্টকে আটক করে। নরহত্যার অভিযোগ দায়ের করে শনিবার ট্যারেন্টকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুক্রবারের হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আরও দুই পুরুষ ও এক নারীকে আটক করেছিল।
পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের বিশ্বাস ওই তিনজন মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িত নন।
তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের করা হতে পারে। ১৮ বছরের অন্য একজনকে সোমবার আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে। আটক নারীকে বিনাশর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এখনো প্রায় ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে রোববার জানায় বিবিসি। তাদের মধ্যে চার বছরের এক বালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভয়াবহ এ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা অ’ডুর্ন একে দেশের ইতিহাসে ‘কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। দেশের ‘অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে’ বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সোমবার তার মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। মঙ্গলবার পার্লামেন্ট হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
‘বুধবার নাগাদ মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে’ বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
হেলমেটে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে ট্যারেন্ট আল নূর মসজিদে হামলার পুরো দৃশ্য ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল।
এ বিষয়ে অ’ডুর্ন বলেন, “এখনো আরও অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর পেতে হবে। ফেইসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা কী, এই প্ল্যাটফর্মের বিস্তৃতি অনেক বেশি এবং এটা একটি সমস্যা যা নিউজিল্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।”
ট্যারেন্ট পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক এবং সবগুলোই নিবন্ধন করা। তার অতীত অপরাধের রেকর্ড নেই। সে নিউ জিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল না বলেও জানান অ’ডুর্ন।