লিনউড মসজিদে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নেন এক সাহসী তরুণ

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে লিনউড মসজিদে হামলার পর এক তরুণের সহসিকতায় বেঁচে গেছে বহু মানুষের প্রাণ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2019, 12:21 PM
Updated : 15 March 2019, 12:42 PM

সেই তরুণ কীভাবে হামলাকারীকে কাবু করে তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন সেই গল্প নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডকে শুনিয়েছেন ওই মসজিদ থেকে বেঁচে ফেরা একজন।

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ এবং কাছের লিনউড মসজিদে হামলা চালায় দুই ব্যক্তি, যাদের হাতে ছিল অটোমেটিক রাইফেল।নির্বিচারে গুলিতে আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউডে ৭ জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, লিনউড মসজিদের খাদেম ওই তরুণ যদি হামলাকারীর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াতেন, তাহলে সেখানে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারত।

সৈয়দ মাজহারিউদ্দিন

ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া সৈয়দ মাজহারিউদ্দিন নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, মোটামুটি ৬০ থেকে ৭০ জন ওই সময় মসজিদে ছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দ শুরু হলে লোকজন আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে।

“আমি তখন লুকিয়ে পড়ার জায়গা খুঁজছিলাম। সবাই ভয়ে চিৎকার করছিল। দেখলাম এক লোক মসজিদের দরজা দিয়ে ঢুকল।”

সামরিক কায়দার ক্যামোফ্লাজড গিয়ার পরিহিত ওই হামলাকারী তখন নির্বিচারে গুলি করছিল হাতের অস্ত্র দিয়ে। দরজার কাছেই ছিলেন বয়স্ক কয়েকজন। হামলাকারী তাদের দিকেও গুলি চালায়। 

ওই সময় মসজিদের তরুণ সেই খাদেম ভেতর থেকে এসে রুখে দাঁড়ান বলে জানান মাজহারিউদ্দিন।

“সুযোগ বুঝে এগিয়ে গিয়ে ও হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আর হাত থেকে বন্দুকটা কেড়ে নেয়। তারপর সে হামলাকারীকেও ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু অস্ত্রের ট্রিগারটা সে খুঁজে পাচ্ছিল না।”

হামলাকারী তখন দৌঁড়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায় এবং বাইরে অপেক্ষায় থাকা একটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় বলে জানান মাজহারিউদ্দিন।        

তিনি জানান, এই হামলার ঘটনায় তার সামনেই একজনের বুকে, আরআরেকজনের মাথায় গুলি লাগে। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আরেকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভেতরে রেখে লোক ডাকতে বাইরে যান তিনি।

“আমি যখন দৌড়ে বাইরে এলাম, পুলিশ তখন মসজিদে ঢুকল। ওরা আর আমাকে ভেতরে যেতে দেয়নি। আমি আর আমার বন্ধুকে বাঁচাতে পারলাম না।”