যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এ হামলাকে ‘নৃশংসতার অসুস্থ চর্চা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ হামলা বিশ্বজুড়ে ‘চরমপন্থা ও ইসলামের প্রতি’ বাড়তে থাকা ভীতির সর্বশেষ উদাহরণ।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে হামলাকারী ২৮ বছরের ব্রেন্টন ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
সিডনিতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মরিসন বলেন, “পরিবারের সদস্য হিসেবে নিউ জিল্যান্ডবাসী ভাই-বোনদের জন্য আমরা আজ শোকাহত। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আজ একজন চরম ডানপন্থি নৃশংস সন্ত্রাসী যে হামলা চালিয়েছে তার নিন্দা জানাচ্ছি।”
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনো মারসুদি নিন্দা জানিয়ে বলেন, “বিশেষ করে প্রার্থনার স্থান, যেখানে জুমার নামাজ চলছিল সেখানে হামলার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।”
ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা বলেন, “নিউ জিল্যান্ডে আমাদের ভাই-বোনদের শোকে ফিজির জনগণের হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে।”
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় হতাহতদের মধ্যে ফিজির একাধিক নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান।
এ ঘটনায় শোক ও নিন্দা প্রকাশ করে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের দুই নাগরিক আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছে, “এটা সাধারণ মানুষের উপর নির্বোধের মত হামলা। আশা করি বর্বর এ হামলার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হবে।”