রাজধানী রিয়াদের অপরাধ আদালতে বুধবার হাজির করা হচ্ছে প্রায় ১০ জন নারীকে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে বলে জানিয়েছে আদালতের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম আল সায়ারি। আদালতকক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করার অভিযোগের আওতায় সৌদি আরব এদের বিচার করছে। গতবছর সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার আগে অধিকারকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চলার সময় এ নারীকর্মীদের আটক করা হয়েছিল।
নারী অধিকারের প্রচার চালানোর গত বছর মে তে প্রথম কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বিশিষ্ট কয়েকজন নারী কর্মীও আছেন। তাদের মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী দাবিও উঠেছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ৩০ টিরও বেশি দেশ ওই নারী অধিকারকর্মীদের আটক করার জন্য সৌদি আরবের সমালোচনা করেছে।
তাছাড়া, গতবছর অক্টোবরে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যার পর সৌদি আরবের মানবাধিকারের বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিচারের মুখোমুখি হওয়া নারী অধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ সম্পর্কে সরকারি কৌসুলির কার্যালয় কিছু জানায়নি। তবে বলা হচ্ছে, “তারা (কর্মীরা) সৌদি আরবের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে্য সমন্বিত এবং সংগঠিত কর্মকান্ড চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
‘গাল্ফ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’ বলেছে, এই নারীরা ন্যায়বিচার নাও পেতে পারে বলে তারা শঙ্কিত।