‘পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খবর বিবিসির।
পরে এক টুইট বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, কারাকাসে কর্মী রাখা ‘যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার নীতির জন্য বিব্রতকর’।
দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় এর আগে জানুয়ারিতে এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা থেকে ‘প্রয়োজনীয় নয়’ এমন সকল কর্মীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
লাতিন আমেরিকার দেশটিতে কয়েকদিন ধরে চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও অমানবিক পরিস্থিতি তুমুল গণআন্দোলনের জন্ম দিতে পারে বলেও ধারণা অনেক বিশ্লেষকের।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী পম্পেও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কারাকাস থেকে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশদুটির সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে ‘স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট’ দাবি করার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে স্বীকৃতি দেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভেনেজুয়েলা তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে।
মাদুরো পরে কারাকাসের মার্কিন কূটনীতিকদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেনেজুয়েলা ছাড়ের নির্দেশ দেন। যদিও তার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘বৈধ প্রেসিডেন্ট’ না হওয়ায় এ ধরনের নির্দেশ দেয়ার এখতিয়ার মাদুরো রাখেন না।
“নিকোলাস মাদুরো ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের সমাজতান্ত্রিক স্বর্গে একটি চমৎকার জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি সমাজতান্ত্রিক অংশটি ঠিকই সরবরাহ করেছেন। কিন্তু স্বর্গের অংশটি? মনে হয় না পেরেছেন,” সোমবার বলেন পম্পেও।
একইদিন টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মাদুরো ভেনেজুয়েলায় কয়েকদিন ধরে চলা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন।
““যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী সরকারই এ হামলার (বিদ্যুৎ বিভ্রাট) নির্দেশ দিয়েছে,” বলেছেন তিনি।