২০১৭ সালে আইশা কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিমের মুখে বিষাক্ত তরল ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট মেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
তিনি ও তার সহঅভিযুক্ত, ভিয়েতনামের ডন থী হুং খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তারা টেলিভিশনের একটি কৌতুক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এমনটি ভেবেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন।
দুইজন এর আগে বলেছিলেন, টেলিভিশনের কৌতুক অনুষ্ঠানের দৃশ্যায়ন হচ্ছে মনে করে ন্যামের মুখে ওই পদার্থ মাখিয়ে দিয়েছিলেন তারা; এটি যে বিষাক্ত পদার্থ তা জানতেন না।
ন্যামকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘এ কাজ করা হয়নি তা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাওয়ায়’ সিতি ও ডনের বিরুদ্ধে মামলাটি তুলে নেওয়া হবে বলে তাদের আইনজীবীরা আশাও প্রকাশ করেছিলেন।
একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে পর্যবেক্ষরা স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং ঘটনাটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শীর্ষ খবরে পরিণত হয়েছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, মামলার কৌঁসুলিরা কোনো কারণ না দেখিয়েই খুনের অভিযোগ বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিচারক তাদের অনুরোধ অনুমোদন করে বলেন, “সিতি আইশাকে মুক্তি দেওয়া হল।”
কুয়ালালামপুরের আদালত থেকে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হুংয়ের চেয়ে সিতির বিরুদ্ধে কম সাক্ষ্য পাওয়া গেছে বলে মনে হয়েছে।
আদালত তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ২৬ বছর বয়সী আইশা সহঅভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী হুংকে জড়িয়ে ধরেন এবং কান্না করেন।
মুক্তি পাওয়ার পর তাকে তখনই লিফট দিয়ে নামিয়ে আদালতের বাইরে অপেক্ষমাণ ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত ছাড়ার আগে তিনি বলেন, “আমি ভালবোধ করছি। এমনটি হবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি এটি প্রত্যাশাই করিনি।”
খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেও সিতিকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আদালত।
আদালত জানিয়েছেন, বিচারে মামলাটি ইতোমধ্যে একটি ‘প্রিমা ফেইসি কেস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া যাবে না এবং নতুন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ফের ডাকা হতে পারে।