বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যাও আগের ধারণার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বলে রোববার জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
মালাউয়ির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র চিপিলিরো খামুলা জানান, শনিবার পর্যন্ত ২৮ জন নিহত ও ১২৪ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।
“মোট ৪৫ হাজার ৩১২টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাক্রান্ত ১৪টি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
তুমুল ঝড় বিভিন্ন নদীর উপকূল উপচে গ্রামগুলোকে ভাসিয়ে দেয়ার পর শুক্রবার মালাউয়ির প্রেসিডেন্ট আর্থার পিটার মুথারিকা দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ‘জরুরি দুর্যোগ অবস্থা’ জারি করেন। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বেশকিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা অনেকেই দ্রুত সাহায্য পৌঁছানোর আশায় অপেক্ষা করছেন। এদেরই একজন টোবিয়াস টিমোথি। গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর ধসে পড়ার পর মালাউয়ির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ব্ল্যানটায়ারের ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে নেনোর একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
“আমাদের আশ্রয় দরকার। স্কুলের সেশন চলছে,” শিক্ষার্থীরা সোমবার এলে কী হবে জানিনা আমরা, বলেছেন টিমোথি। একই ঝড়ের কারণে মোজাম্বিকের বেশ কিছু এলাকাতেও বন্যা দেখা দিয়েছে।
বন্যার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালাউয়ির প্রেসিডেন্ট মুথারিকা জরুরি বিভাগগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সমন্বিত ত্রাণ তৎপরতা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পানিতে আটকাপড়া ও উদ্বাস্তু হয়ে পড়াদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।