শনিবার ওই এলাকা থেকে আরও বেসামরিকে সরিয়ে নেওয়া হবে এমন প্রত্যাশা করছেন বলে এসডিএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিরিয়ার বাঘুজের ওই ছিটমহলটি থেকে হাজার হাজার বেসামরিক বের হয়ে আসছেন। এদের অনেকেই আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রী ও তাদের সন্তান। এদের কারণে আইএস জঙ্গিদের শেষ ঘাঁটিটি উচ্ছেদের লক্ষ্যে চূড়ান্ত হামলা চালানো থেকে এসডিএফকে বিরত থাকতে হচ্ছে।
এসডিএফ জানিয়েছে, চূড়ান্ত হামলা চালানোর আগে ছিটমহলটি থেকে সব বেসামরিক বের হয়ে গেছেন এটি নিশ্চিত হতে চায় তারা।
আইএসের কয়েকশ যোদ্ধা ওই ছিটমহলটি থেকে বের হয়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু জঙ্গিগোষ্ঠীটির সবচেয়ে নিবেদিতপ্রাণ অধিকাংশ বিদেশি যোদ্ধা এখনও ভিতরে রয়ে গেছে বলে বিশ্বাস এসডিএফের।
“সেখানে অনেকগুলো পরিবার আছে, তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামরিক অভিযানে বিরতি দেওয়া হয়েছে,” রয়টার্সকে বলেছেন এসডিএফের গণমাধ্যম দপ্তরের প্রধান মুস্তাফা বালি।
রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদিক জানিয়েছেন, আটকাপড়াদের সরিয়ে নিতে ব্যবহার করা ট্রাকগুলো শনিবার বাঘুজে প্রবেশ করেছে এবং লোকজন নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি ট্রাক বের হয়ে এসেছে।
শনিবার বিকালের মধ্যে আর কোনো বেসামরিক বের না হলে এসডিএফ ফের হামলা শুরু করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন বালি।
বাঘুজ থেকে যারা বের হয়ে আসছেন তাদের ভিডিও করে রাখছে এসডিএফ এবং অধিকাংশকে উত্তরের আল-হোল শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। এই শিবিরটি সিরীয় ও ইরাকি উদ্বাস্তুদের দিয়ে ভরে উঠেছে। এরা কয়েক বছর ধরে চলা যুদ্ধের কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।