আইএস যোদ্ধাপত্নী শামীমার ছেলের মৃত্যু

যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শামীমা বেগমের সদ্যোজাত ছেলেটি মারা গেছে।

>>রয়টার্স
Published : 8 March 2019, 07:06 PM
Updated : 9 March 2019, 03:45 AM

শামীমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ বয়সী শিশুটি মারা গেছে বলে ‘জোরালো তবে অনিশ্চিত’ খবর পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় এলাকার কুর্দি রেড ক্রিসেন্টের এক চিকিৎসাকর্মী বিবিসিকে শিশুটি মারা যাওয়ার খবর জানান।

সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) প্রথমে এ খবর অস্বীকার করলেও পরে তারা শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শামীমা সিরিয়ার যে আশ্রয়শিবিরে থাকেন সেখানকার আশপাশের ওই কুর্দি রেড ক্রিসেন্ট কর্মীর ভাষ্যমতে, শিশুটি শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তার মা একজন চিকিৎসককে দেখান। পরে দুপুরের দিকেই শিশুটি মারা যায়।

এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বিবিসিকে বলেন, “খবরটি সত্য কি না তা আমি একেবারেই জানি না। তবে আমি বলব, এটা দুঃখজনক। এমন অনেক নিষ্পাপ শিশুই হয়ত আছে যারা যুদ্ধক্ষেত্রে জন্ম নিচ্ছে।

“এমন পরিস্থিতিতে ফেলা ওইসব শিশুর জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই। কারো জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া যে কতটা বিপজ্জনক এ ঘটনাই তার সাক্ষী।”

২০১৫ সালের শুরুর দিকে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী শামীমা ও তার সহপাঠী আরেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি খাদিজা সুলতানাসহ তিন তরুণী আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।

সেখানে আইএস উৎখাতে আশ্রয় হারিয়ে শামীমার ঠাঁই হয় এক শরণার্থী শিবিরে। সেখানেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এক সাংবাদিক তার খোঁজ পান। ব্রিটিশ দৈনিক টাইমসের সাংবাদিক অ্যান্থোনি লয়েডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামীমা জানান তার ঘরে ফেরার আকাঙ্খার কথা।

সিরিয়ায় আইএস ঘাঁটিতে গিয়ে ধর্মান্তরিত এক ডাচকে বিয়ে করা শামীমা সে সময় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারিতে শামীমা ছেলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা জানান। সিরিয়ায় এর আগেও দুটি সন্তানের মা হয়েছিলেন শামীমা। তার ওই দুই সন্তানও মারা গেছে।

অনাগত সন্তান যাতে চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য তিনি ব্রিটেনে ফিরতে চান বলে টাইমসের সাংবাদিককে বলেছিলেন শামীমা।