বিবিসি জানায়, শুক্রবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে চারটি প্যারাশুটে করে নেমে এসে আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করেছে এ ডেমো ক্যাপসুল।
মিশন কন্ট্রোল রুমে তখন সবাই আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। “গোটা অভিযান এত ভালভাবে শেষ হল ভাবতেই অবাক লাগছে,” বলে ওঠেন মিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেঞ্জামিন রিড।
গত ২ মার্চ শনিবার সকালে ফ্লোরিডায় নাসা’র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুরু হয়েছিল ‘ডেমো-১’ নামের এ মিশন। স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ক্যাপসুলটি। এরই মধ্যে মিশন সফল করে এটি ফের পৃথিবীতে ফিরল।
পরীক্ষামূলক এ মিশনে ক্যাপসুলটিতে কোনো মানুষ না থাকলেও রিপলি নামে একটি ডামি পাঠানো হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে ‘এলিয়েন’ সিনেমার মূল চরিত্রের নামে নামকরণ করা হয় রিপলি’র। ডামির গায়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল অনেক সেন্সর।
পরীক্ষায় এ সফলতা ভবিষ্যতে স্পেসএক্স এর ক্যাপসুলে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নভোচারী পাঠানোর পথ খুলে দিল। আগামী জুলাইয়েই প্রথম পাঠানো হতে পারে নভোচারী। তবে এ সময়ের হেরফেরও ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১১ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র মহাকাশ শাটল প্রকল্প বন্ধ হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে আর কোনো নভোচারী মহাকাশে পাড়ি জমাননি। মহাকাশে যেতে তখন থেকেই রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে মার্কিন নভোচারীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে ফের নভোচারীদের মহাকাশে পাঠাতে তাই বেসরকারি নভো প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে নাসা। রকেট ও ক্যাপসিউল বানাতে প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ২৬০ কোটি এবং ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিলও দিয়েছে সংস্থাটি। বোয়িং এর ক্যাপসুলের পরীক্ষামূলক মিশনও এপ্রিল কিংবা এর পরপরই করার কথা রয়েছে।