বৃহস্পতিবার এক রায়ে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থিত এ দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে রাজকুমারী উবোরাতানা বার্ণাভাদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়ে রাকসা চার্ট পার্টি হইচই ফেলে দিয়েছিল।
রাজা ভাজিলারংকর্ণ ও রাজপরিবারের সমালোচনার মুখে পড়ে পরে অবশ্য ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা।
রাজার বোনকে মনোনয়ন দিয়ে রাজপরিবারের নিরপেক্ষতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলায় রাকসা চার্ট পার্টি বিপদে পড়তে পারে বলে আগেই অনুমান করা হচ্ছিল।
২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থিত এ দলকে সামনের নির্বাচনের অন্যতম মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত সেই সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দিল। নির্বাচনে জিততে হলে থাকসিনের সমর্থকদের এখন নতুন কোনো পার্টি খুলতে হবে বা বিদ্যমান কোনো দলকে সমর্থন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবারের রায়ে রাকসা চার্ট পার্টির নির্বাহী কর্মকর্তাদের ১০ বছরের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
“রাজপরিবারের স্থান রাজনীতির ওপরে; তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। রাজা, রানি এবং রাজকুমারীরা কখনো ভোট দেয়ার রাজনৈতিক অধিকারেরও চর্চা করেন না,” বলেছেন বিচারক নাখারিন ম্যাকত্রাইরাত।
রাজকন্যা উবোরাতানার সমর্থন ২৪ মার্চের নির্বাচনে থাকসিনকে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছিল। থাই রাকসা পার্টিকে মূলত পিউ থাই পার্টির ছায়া হিসেবেই বিবেচনা করা হত। এ পিউ-থাই পার্টিই মূলত থাকসিনপন্থিদের দল।
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ৫ বছর আগে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় বসা প্রায়ুথ-চান ওচার অধীনে এবারই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০১৭ সালে গৃহীত দেশটির সর্বশেষ সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো সর্বোচ্চ কী পরিমাণ আসন জিততে পারবে তার একটি সীমারেখাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।