মাদুরো সরকারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান গুইদোর

ভেনেজুয়েলা জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করার পর প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার জন্য ইউরোপকে আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো।

>>রয়টার্স
Published : 7 March 2019, 03:03 PM
Updated : 7 March 2019, 03:04 PM

জার্মানির ‘দার স্পিগেল’ পত্রিকায় বৃহস্পতিবার গুইদো বলেন, “কারাকাস জার্মান রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েল ক্রিনারকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে জার্মানির বিরুদ্ধে হুমকির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

ক্রিনার ও অন্যান্য কূটনীতিকরা এ সপ্তাহে গুইদোকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। এর জেরেই মাদুরো সরকার ক্রিনারকে বহিস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দার স্পিগেল পত্রিকাকে গুইদো বলেন, “রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এ মারাত্মক হুমকির জবাবে ইউরোপ কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটিই আমি আশা করি। সর্বপোরি, তাদের উচিত মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা।”

ভেনেজুয়েলায় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিরোধীদলীয় নেতা গুইদোর সরকার গঠনের পরিকল্পনায় সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে জার্মানিও।

গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করার পর তাকে ভেনেজুয়েলার ‘বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

তবে রাশিয়া এবং চীন বরাবরই প্রেসিডেন্ট মাদুরোকেই সমর্থন দিয়ে আসছে এবং ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখেও বহাল তবিয়তেই ক্ষমতায় থাকছেন মাদুরো। ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের’ সাহায্য নিয়ে গুইদো তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার মাদুরো সরকার ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর’ অভিযোগে জার্মান রাষ্ট্রদূত ক্রিনারকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বার্লিন বলেছে, ক্রিনারকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত কেবল উত্তেজনাই বাড়াবে।

তাছাড়া, জার্মানি ও এর ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলো গুইদোকেই সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত শনিবার আলোচনার জন্য জার্মানিতে ফিরবেন। কিন্তু এতে বার্লিনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।