এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, এসব সন্দেহভাজনদের প্রায়ই কোনো যুক্তি ছাড়াই গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যতন করা হয়েছে।
এসব আটকাদেশ শেষ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনগুলো সংশোধন করার জন্য ইরাক ও কুর্দি কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। তারা আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করছে বলে অভিযোগ গোষ্ঠীটির।
ইরাক ও কুর্দি কর্তৃপক্ষগুলো এ পর্যন্ত এইচআরডব্লিউর এ প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে এইচআরডব্লিউর পূর্ববর্তী আরেকটি প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল কুর্দি সরকার। ওই প্রতিবেদনে আইএসের সঙ্গে সম্পর্কের স্বীকারোক্তির জন্য শিশুদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
জানুয়ারিতে কুর্দি এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর নীতি হচ্ছে এ ধরনের শিশুদের ‘পুনর্বাসিত’ করা; নির্যাতন করা নিষেধ এবং অন্যান্য বন্দিরা যে অধিকার ভোগ করছেন শিশুরাও তা পাচ্ছে।
এইচআরডব্লিউর ৫৩ পাতার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষে ইরাকি ও কুর্দি কর্তৃপক্ষগুলো কথিত আইএস সম্পর্কের কারণে প্রায় দেড় হাজার শিশুকে আটক করে রেখেছে।
অন্তত ১৮৫ জন বিদেশি শিশুকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে ইরাকি সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
তাদের প্রতিবেদনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হল:
আইএসের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ আছে এমন মনে হলেই শিশুদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা।
স্বীকারোক্তিতে বাধ্য করতে নির্যাতনের ব্যবহার এবং দ্রুততার সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট বিচারের মাধ্যমে সাজা দেওয়া।
এইচআরডব্লিউর শিশু অধিকার রক্ষা বিষয়ক পরিচালক জো বেকার বলেছেন, “এসব ঢালাও, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ন্যয়বিচার নয় এবং এগুলো এসব শিশুদের অনেকের জন্য জীবনভর নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে।”