কানাডার আরেক মন্ত্রীর পদত্যাগ, ‘ঝুঁকিতে’ ট্রুডো

বৃহৎ একটি নির্মাণ কোম্পানির দুর্নীতি ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কানাডার ট্রেজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জেইন ফিলপট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2019, 07:48 AM
Updated : 5 March 2019, 07:56 AM

৫৮ বছর বয়সী এ নারী সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নির্মাণ কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনি ইনকর্পোরেটেডকে দুর্নীতির বিচারের হাত থেকে বাঁচাতে সাবেক বিচারমন্ত্রী জোডি উইলসন-রাইবোল্ডকে কর্মকর্তারা চাপ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করে সোমবার পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। 

এ নিয়ে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কানাডার মন্ত্রিসভার দুই সদস্য পদত্যাগ করলেন।

প্রভাবশালী নারী মন্ত্রী ফিলপটের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে বেকায়দায় ফেলবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। 

ক্ষমতায় থাকা ট্রুডোর লিবারেল পার্টি এবারের নির্বাচনে পরাজিত হতে পারে বলেও বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ইঙ্গিত মিলেছে। 

“দুঃখজনকভাবে, সরকার যেভাবে এ বিষয়টির (এসএনসি) মোকাবিলা করছে, অভিযোগ ওঠার পর যে উপায়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে আমি সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না,” বিবৃতিতে বলেছেন ফিলপট।

তার এ ঘোষণায় হতাশা ব্যক্ত করলেও কী কারণে এ পদত্যাগ তা বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রুডো।

“উদ্বেগের যে প্রকৃতি, তাতে একে অবশ্যই গুরুতরভাবে নেওয়া উচিত। আমি যে নিয়েছি, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করছি,” টরোন্টোতে লিবারেল পার্টির সমাবেশে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালনের জন্য ফিলপটকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। আগের পদত্যাগী মন্ত্রী রাইবোল্ডের বেলায় তিনি এমন সৌজন্য দেখাননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জানুয়ারিতে আকস্মিক পদাবনতির পর ফিলপটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু উইলসন রাইবোল্ড গত ১২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। সাবেক এ বিচারমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছেন, এসএনসি লাভালিনকে সাহায্য করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করাতেই পদাবনতি হয়েছিল বলে ধারণা তার।

বৃহৎ এ নির্মাণ কোম্পানিকে অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দিতে কর্মকর্তাদের ‘নৈতিক স্খলন’ আইনের শাসনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে মন্তব্য করে এর দায় নিয়ে ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা অ্যান্ড্রু শির।

ফিলপটের পদত্যাগ লিবারেল পার্টিকে শক্ত ঝাঁকুনি দিতে পারে বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের। দলটির বেশিরভাগ সাংসদই এখন পর্যন্ত ট্রুডোর প্রতি সমর্থন দেখালেও তাদের মধ্যে উদ্বেগের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর।