আটক দুই কানাডীয়র বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ চীনের

চীন আটক দুই কানাডীয় নাগরিক মাইকেল কভরিগ এবং মাইকেল স্পাভরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2019, 03:26 PM
Updated : 4 March 2019, 03:26 PM

চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু গতবছর প্রতারণা ও ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের সন্দেহে কানাডায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর চীন এ দুই কানাডীয়কে আটক করে।

কানাডা এখন মেং কে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই চীন আটক দুই কানাডীয়র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করল। চীন বরাবরই মেং এর মুক্তি দাবি করে আসছে এবং গত সপ্তাহে কানাডা সরকার মেং কে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনুমোদন করায় চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

কানাডীয় মাইকেল কভরিগ একজন সাবেক কূটনীতিক এবং মাইকেল স্পাভর একজন ব্যবসায়ী। তাদেরকে ডিসেম্বরে আটক করে চীন। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক এবং আইন বিষয়ক কমিশন বলেছে, কভরিগ গোয়েন্দাগিরি করেছেন এবং বিদেশি এজেন্টদের হয়ে জাতীয় গোপন তথ্য চুরি করেছেন।

বর্তমানে কভরিগ ব্রাসেলস ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে (আইসিজি) কাজ করছেন। স্পাভর গোয়েন্দা তথ্য কভরিগকে দিতেন এবং তার সঙ্গেই মূলত কভরিগের যোগাযোগ ছিল বলেও জানিয়েছে কমিশন। এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

চীন কর্তৃপক্ষ জানায়, কভরিগ ২০১৭ সাল থেকে ঘন ঘন নিয়মিত পাসপোর্ট এবং ভিসা নিয়ে চীনে প্রবেশ করেছেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, কভরিগ মারাত্মকভাবে চীনা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং একারণে চীন তার বিরুদ্ধে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে।”

এতে আরো বলা হয়, “চীন আইনের শাসনের দেশ। তারা জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয় এমন অপরাধমূলক তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করবে।”

ওদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) বিবিসি’কে বলেছে, তারা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তবে মাইকেল কভরিগের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়েরের ব্যাপারে সরকারিভাবে তারা কিছু শোনেনি। প্রমাণ ছাড়াই কভরিগের বিরুদ্ধে অস্পষ্ট অভিযোগ তুলে অন্যায় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিজি’র মুখপাত্র।

কানাডীয় স্পাভর চীনের উত্তর কোরিয়া সীমান্তবর্তী শহর ড্যাংডংয়ে থাকেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুইজনকেই ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।