আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই: ইমরান খান

ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার ডাক উঠেছে স্যোশাল মিডিয়ায় তার ভক্ত-সমর্থক এমনকী সরকার পক্ষ থেকেও। এর প্রতিক্রিয়ায় খোদ ইমরান বলেছেন, তিনি এ পুরস্কারের যোগ্য নন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2019, 12:43 PM
Updated : 4 March 2019, 01:05 PM

সোমবার ইমরান খান টুইটারে লেখেন, “আমি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নই। যিনি কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছানুযায়ী কাশ্মীর সংকটের সমাধান করবেন এবং এ উপমহাদেশে শান্তি ও মানবজাতির উন্নয়নের পথ রচনা করবেন তিনিই এ পুরস্কারের যোগ্য হবেন।”

ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে এবং বহু মানুষও তাতে সাক্ষর করেছেন। পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ইমরান খান।

কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক-ভারত আকাশযুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানশসিত কাশ্মীরে ভূপাতিত হয় এবং এর উইং কমান্ডার অভিনন্দন আহত অবস্থায় ধরা পড়েন।

শান্তির বার্তা দিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরদিনই এ ভারতীয় বৈমানিককে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেন। শুক্রবার রাতে পাঞ্জাবের ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান।

 

বন্দি অভিনন্দনকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার কারণে কাশ্মীর সীমান্তে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধের যে আবহ সৃষ্টি হয়েছিল তা আপাতত অনেকটাই শান্ত হয়েছে। শান্তির পথে একেই ইমরানের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে সবাই। তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবিটি উঠেছে এ থেকেই।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী চৌধুরি ফাওয়াদ হুসাইন পার্লামেন্টে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা হ্রাসে অগ্রণী ভূমিকার জন্য ইমরান খানের এ সম্মান প্রাপ্য।

ওদিকে, অনলাইনের পিটিশনে মানুষের স্বাক্ষর বাড়তে থাকার পাশাপাশি টুইটারে #নোবেলপ্রাইজফরইমরানখান নামে হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার মধ্যেই ইমরান খান টুইটারে তার ওই প্রতিক্রিয়া জানালেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিদল জইশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদলটির একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে তিন শতাধিক জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে।

ভারত তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে পাকিস্তানও ভারতের আকাশে তাদের জঙ্গিবিমান পাঠালে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে আকাশযুদ্ধ বেধে যায়।