গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে সিমেনির এ আসনটিতে জয় পেয়েছিল ক্ষমতাসীন জোট। কিন্তু জানুয়ারিতে তাদের সাংসদের মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়া আসনটির উপনির্বাচনে হেরে গেছে তাদের নতুন প্রার্থী।
শনিবারের ওই নির্বাচনে পাকাতান হারাপানের প্রার্থী এক হাজার ৯১৪ ভোটে পরাজিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক বিজয়ের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ হার ক্ষমতাসীনদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
সেমেনিয়ার আসনে বিজয়ী হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন বারিসন ন্যাসিওনালের প্রার্থী। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে পুরনো এ দলটি গত বছরের নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল। এর আগে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারা।
অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ইসলাম রক্ষা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও দ্রুত সেগুলো কার্যকর না করতে পারায় সমালোচনার মুখে পড়েছে মাহাথিরের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট। তাই উপনির্বাচনে এ হার পাকাতান হারাপানের জন্য একটি ধাক্কা।
স্বাধীন জরিপ প্রতিষ্ঠান মেরদেকা সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে পাকাতান হারাপান সংখ্যালঘু চীনা ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিপুল সমর্থন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয় সম্প্রদায়ের মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট টানতে পেরেছিল।
এতদিন ধরে তারা ব্যবসা, শিক্ষা ও গৃহায়নের ক্ষেত্রে যে সুবিধা পেত, নতুন সরকার তা তুলে নিতে পারে এমন শঙ্কা সংখ্যাগরিষ্ঠ এ সম্প্রদায়ের একটি অংশের মধ্যে কাজ করছে। নির্বাচনের পর থেকে ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের জনপ্রিয়তা ধারাবাহিকভাবে কমছে জরিপে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
দুর্নীতির বেশকয়েকটি অভিযোগে চলতি বছর বারিসন ন্যাসিওনালের এ প্রধানের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে নিজের ধনী ও অভিজাত রাজনীতিবিদের ভাবমূর্তি আড়াল করে জনগণের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নাজিব।
পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকারও করে নিজেকে নির্দোষও দাবি করেছেন তিনি।