গাজায় ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের সামিল: জাতিসংঘ

গাজা সীমান্তে গত বছর ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮৯ ফিলিস্তিনি হত্যা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের সামিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা একথা বলেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 28 Feb 2019, 06:28 PM
Updated : 28 Feb 2019, 07:33 PM

২০১৮ সালের ৩০ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের গঠিত স্বাধীন একটি তদন্ত কমিশন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি হত্যার জন্য যারা দায়ী বলে কমিশন মনে করে সেইসব স্নাইপার এবং কমান্ডারদের সম্পর্কে তাদের কাছে গোপন তথ্য আছে।

এতে আরো বলা হয়, “ইসরায়েলি বাহিনী যে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়ে তাদের হত্যা কিংবা জখম করেছে তারা অন্য কারো জন্য মারাত্মক কোনো হুমকি ছিল না। এমনকী তারা সরাসরি কোনো সংঘাতে জড়িতও হয়নি।”

ইসরায়েলের গাজা অবরোধ শিথিল করা এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের বাড়ি ফেরার অধিকারের স্বীকৃতির দাবিতে ইসরায়েল-গাজা সীমান্তের সম্মুখভাগে বিক্ষোভ করছিল ফিলিস্তিনিরা। সেই বিক্ষোভেই গুলি চালিয়েছিল ইসরায়েল।

তদন্ত কমিশন বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, নিরস্ত্র প্রায় ৬ হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলের সামরিক স্নাইপাররা।

বিক্ষোভস্থলগুলোতে ১৮৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে কমিশন জানিয়েছে, তাজা গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ১৮৩ ফিলিস্তিনি। তাদের ৩৫ জনই শিশু, তিনজন চিকিৎসাকর্মী এবং দুইজন সাংবাদিক।

তাছাড়া, কমিশনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর তাজা গুলিতে আহত হয়েছে আরো ৬ হাজার ১০৬ ফিলিস্তিনি। আরো ৩ হাজার ৯৮ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে রাবার বুলেট কিংবা টিয়ার গ্যাসের শেলে।

নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের এভাবে হত্যা এবং জখম করা মানবাধিকারের পাশাপাশি মানবাধিকার আইনেরও মারাত্মক লঙ্ঘন এবং তা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল বলেই উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।