ট্রাম্পের ‘জরুরি অবস্থা’ অবসানে প্রতিনিধি পরিষদে ভোট

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের জন্য কংগ্রেসকে এড়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা করা জাতীয় জরুরি অবস্থার ইতি টানতে প্রস্তাবনা পাসের জন্য ভোটভুটিতে যাচ্ছে প্রতিনিধি পরিষদ।

>>রয়টার্স
Published : 26 Feb 2019, 01:02 PM
Updated : 26 Feb 2019, 01:02 PM

ডেমক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে মঙ্গলবারই এ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

বাজেটে সীমান্ত প্রাচীরের তহবিল বরাদ্দ নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছর শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থায় দীর্ঘতম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তা সমাধানের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প জরুরি অবস্থা জারির ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাইলে সরকারি অন্যান্য কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থ প্রাচীর নির্মাণে ব্যয় করতে পারবেন।

কিন্তু ট্রাম্পের অর্থ বরাদ্দের এ ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে  ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহে দুইবার যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সফর করেছেন জানিয়ে ডেমক্র্যাটিক নেতা স্টেনি হয়্যার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি যা বুঝেছি তাতে সীমান্তে কোনো সংকট নেই। বরং সংবিধানের প্রতি আমাদের আনুগত্য নিয়ে কোনো সংকট দেখা দিয়েছে কিনা সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে….।”

ডেমক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবনাটি সহজেই অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিম্নকক্ষে অনুমোদনের পর তা উচ্চকক্ষ সিনেটে যাবে, যেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

ট্রাম্পের দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সিনেটে প্রস্তাবনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যদিও প্রস্তাবটি সমান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেই অনুমোদ পেয়ে যাবে।

এরইমধ্যে অন্তত দুই জন রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স ও লিসা মুরকাউস্কি সংবাদমাধ্যমকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যদি সব ডেমক্র্যাটিক সিনেটর এবং দুইজন স্বতন্ত্র সিনেটর প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেবেন বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে কমপক্ষে দুইজন রিপাবলিকান সিনেটরের ভোট পেলেই প্রস্তাবটি সিনেটে অনুমোদন পেয়ে যাবে।

তবে দুই কক্ষে অনুমোদন পেলেও ট্রাম্প ওই প্রস্তাবে আপত্তি (ভিটো) জানানোর ঘোষণা আগেই দিয়ে বসে আছেন।

সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের আপত্তির পর প্রস্তাব পাস হতে হলে কংগ্রেসের দুইতৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের প্রয়োজন পড়েবে; যা পাওয়া কঠিন হবে।