কয়েকজন টোরি এমপি’র নতুন পরিকল্পনায় এমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে যে, “আলোচনা শেষ করার জন্য মন্ত্রীরা ব্রেক্সিট ২৩ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে পারেন।”
তবে প্রধানমন্ত্রী মে সোমবার বলেছেন, ব্রেক্সিটে দেরী করাটা পার্লামেন্টে এ প্রক্রিয়া নিয়ে অচলাবস্থা সমাধানের কোনো পথ নয়।
সময়মত ব্রেক্সিট করতে পারাটা ‘হাতের মুঠোর মধ্যেই আছে’ দাবি করে মে আগামী ১২ মার্চেই পার্লামেন্টে তার ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে এমপি’দের নতুন ভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।
মে বলছেন, তিনি পরিকল্পনামফিক ২৯ মার্চেই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে চান। একথা বলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট এড়াতে এ প্রক্রিয়ায় দেরী করার দাবি মানার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে মে এমন কথা বললেও ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য নিজেদের অজান্তেই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটছে। ওদিকে, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড তুস্কও বলেছেন, “দেরী করাটাই হবে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত।”
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ব্রেক্সিট চুক্তির জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সেটি স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে হয় বিশৃঙ্খল একটি ব্রেক্সিট নয়ত ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানো- যে কোনো একটি বিকল্পকে বেছে নিতে হবে।”
“আমি মনে করি এ পরিস্থিতিতে সময় বাড়ানোটাই যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মে’র এখনো বিশ্বাস যে তিনি এমন পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন।”