যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে পোপের যুদ্ধ ঘোষণা

যাজকদের শিশু যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে ভ্যাটিকানে চারদিনের ঐতিহাসিক সম্মেলনের ইতি টানলেন রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

>>রয়টার্স
Published : 25 Feb 2019, 03:04 PM
Updated : 25 Feb 2019, 03:04 PM

গোটা বিশ্ব থেকে ১৯০ জন গির্জা প্রধান, ১১৪ জন বিশপ ও ১০ নারী প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

রোববার সম্মেলনের সমাপণী বক্তব্যে পোপ শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে নোংরা এবং জঘন্য বলে উল্লেখ করে এ ধরনের অপরাধকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এখন থেকে রোমান ক্যাথলিক গির্জা আগের মত শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা লুকিয়ে না রেখে নির্যাতনকারী যাজকদের বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

যৌন নিপীড়নের ঘটনা রোধে এবং নিপীড়নকারীদের শাস্তি বিধানের ক্ষেত্রে জাতীয় নীতিমালাও আরো কঠোর করা হবে বলে জানান পোপ।

ওদিকে, সম্মেলনের পরপরই ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শিশুসহ অরক্ষিত প্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা দিতে আইন চালু করবে। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী বিশপদেরকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে একটি ‘গাইডবুকও’ ইস্যু করবে।

তাছাড়া, বিশ্বজুড়ে অনভিজ্ঞ বিশপদেরকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা সামাল দিতে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞ টীম গঠন করে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে।

গির্জার যাজকদের বিরুদ্ধে বিশেষত শিশুদের যৌন হেনস্থার ঘটনা তুলে এনে তা রোধের পথ খোঁজার উদ্দেশ্য নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই নজিরবিহীন ‘প্রোটেকশন অব মাইনরস ইন দ্য চার্চ’ শীর্ষক সম্মেলন ডাকেন পোপ ফ্রান্সিস।

সম্মেলন শেষের বক্তব্যে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া যাজকদের শয়তানের দোসর আখ্যা দেন তিনি।  তাদের মামলাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হবে বলেও পোপ অঙ্গীকার করেন।

 তবে পোপের এ সমস্ত আশ্বাস এবং বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়নি অনেকেই। বিশেষ করে যারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা এবং তাদের সমর্থনকরা সম্মেলন শেষে হতাশা প্রকাশ করেছে।

তাদের কথায়, পোপ ফ্রান্সিস কেবল তার পুরোনো অঙ্গীকারগুলোই নতুন করে আউড়ে গেছেন। বাস্তবসম্মত কোনো নতুন প্রস্তাব খুব কমই দিয়েছেন তিনি।