মার্কিন ঘাঁটি নিয়ে গণভোটের রায় উপেক্ষা করছে জাপান

জাপানে গণভোটের রায় উপেক্ষা করে ওকিনাওয়া দ্বীপের মার্কিন সেনাঘাঁটি অন্য একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 25 Feb 2019, 01:12 PM
Updated : 25 Feb 2019, 01:12 PM

গণভোটে ৭২ শতাংশ মানুষই ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন মেরিন সেনাদের ফুতেনমা বিমান ঘাঁটি ওই দ্বীপেরই অন্য একটি জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছে।

কিন্তু জাপানের কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার জানিয়েছে, তারা নতুন করে বিমান ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে চায়। ফুতেনমা ঘাঁটিটি ওকিনাওয়া দ্বীপের শহরাঞ্চলে অবস্থিত। এখন এ ঘাঁটিটিকে দ্বীপের আরো প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিতে চাইছে ওয়াশিংটন।

ওকিনাওয়াতে ২৬ হাজার মার্কিন সেনা সদস্য আছে। জাপান-মার্কিন সামরিক নিরাপত্তা জোটের অংশ হিসাবেই মার্কিন সেনারা সেখানে আছে।কিন্তু দ্বীপের বাসিন্দারা সেখানে এ সেনাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তারা ওকিনাওয়া থেকে মার্কিন ঘাঁটি তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

এক সাবেক মার্কিন মেরিন সদস্যের কাছে স্থানীয় এক কিশোরী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাসহ এ ধরনের আরো নানা অপরাধ এবং দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি কয়েক বছরে মার্কিন ঘাঁটির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। অবশেষে মার্কিন ঘাঁটি অন্যস্থানে সরানো হবে কি-না সে প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করা হলে ৭২ শতাংশই এর বিপক্ষে মত দেয়।

কিন্তু সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সাংবাদিকদের বলেছেন, “সরকার গণভোটের ফল কে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে। কিন্তু বিপজ্জনক ফুতেনমা ঘাঁটি অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আমরা এড়াতে পারি না। এ কাজে দেরীও করা যায় না। সরকার এ ব্যাপারে ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আরো বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাবে।”

সরকার কেন গণভোটের রায়কে উপেক্ষা করছে তা দ্বীপের বসিন্দারা বুঝবেন এমনটিই আশা করছেন বলে জানান আবে। মার্কিন ঘাঁটি স্থানান্তর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, ঘাঁটিটিকে ওকিনাওয়ার উত্তরাঞ্চলে হেনোকো উপকূলীয় এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।