শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ জরুরি অবস্থা জারি করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তার এ ঘোষণার পর ওমদুরমান শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে বশিরবিরোধী তুমুল বিক্ষোভের দেখা মিলেছে।
জরুরি অবস্থা জারির আগে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টিলিজেন্ট সার্ভিসেস (এনআইএসএস) প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিল।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বশির পার্লামেন্টকে সংবিধানের বেশকিছু সংশোধনী স্থগিত রাখতেও বলেছেন; ওইসব সংশোধনীতে তাকে ফের নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ৭৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট।
“এক বছরের জন্য দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করছি। কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের সব সরকারও বিলুপ্ত করা হচ্ছে,” ভাষণে বলেছেন বশির।
কয়েক ঘণ্টা পর দুটি পৃথক ডিক্রিতে তিনি ১৮টি অঙ্গরাজ্যের নতুন গভর্নর হিসেবে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ এবং পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও বিচার মন্ত্রীসহ আগের সরকারের ৫ মন্ত্রীকে পুনরায় দায়িত্ব দেন।
রুটি ও জ্বালানিতে সরকারি ভর্তুকি কমালে ডিসেম্বরে সুদানজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এ আন্দোলন বশিরের ৩০ বছর ধরে চলা শাসনব্যবস্থার বিরোধিতায় রূপ নেয়।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪০ জনের বেশি আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। আটক করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে।