বৈঠকে তিন মিনিট দেরী, তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন মন্ত্রী

পার্লামেন্টের একটি বৈঠকে তিন মিনিট দেরী করে পরে তোপের মুখে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছে জাপানের অলিম্পিক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা শাকুরাদাকে।

রয়টার্স
Published : 22 Feb 2019, 03:27 PM
Updated : 22 Feb 2019, 03:27 PM

বৃহস্পতিবার শাকুরাদার দেরী করার প্রতিবাদে বাজেট কমিটির বৈঠক ৫ ঘন্টার জন্য বয়কট করেন বিরোধীদলীয় এমপি’রা। যথাসময়ে উপস্থিত না হয়ে শাকুরাদা তার কার্যালয়কেই অমর্যাদা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

শুধু এবারই নয় এর আগেও শাকুরাদা একাধিক বিষয় নিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। গত সপ্তাহেই অলিম্পিক সাঁতারে গোল্ড মেডেল জেতার সম্ভাবনাময়ী এক প্রতিযোগীর লিউকেমিয়া ধরা পড়ার পর শাকুরাদা ‘খুবই হতাশ হয়েছেন’ বলে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এবং এর জেরে ক্ষমাও চাইতে হয় তাকে।

এর আগে ২০১৬ সালেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার জাপানি সেনাদের যৌনদাসী করে রাখা ‘কমফোর্ট উইমেন’দের ‘পেশাদার পতিতা’ তকমা দিয়ে সমালোচনা শিকার হয়েছিলেন শাকুরাদা।

আরো একটি ঘটনায় গতবছর সাইবার নিরাপত্তামন্ত্রী পদে থাকা শাকুরাদা জীবনে কখনো কম্পিউটারই ধরেননি বলে মন্তব্য করেও সমালোচনায় পড়েন। তিনি কম্পিউটার না ধরলেও তার অধীনস্তরা সবাই তা জানেন, ফলে কাজে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই বিরোধীদল থেকে একাধিকবার শাকুরাদার পদত্যাগের দাবি ওঠে।

জাপানে বৈঠকে দেরীতে উপস্থিত হওয়াকে গুরুতর কোনো ত্রুটি হিসাবে দেখা না হলেও শাকুরাদার বিলম্বকে তার ব্যর্থতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টাতেই লুফে নিয়েছে বিরোধীদল।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে জাপানের ‘আশাহি শিম্বুন’ পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপের ফলে দেখা গেছে, শাকুরাদা মন্ত্রী পদের যোগ্য কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে ৬৫ শতাংশ মানুষই বিপক্ষে মত দিয়েছেন। আর ১৩ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন তার পক্ষে।

গতবছর অক্টোবরেই শাকুরাদাকে মন্ত্রী পদে নিয়োগ করা হয়। ২০২০ সালে টোকিওয় অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতিতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করাও তার দায়িত্ব।