বিরোধীরা যাতে ত্রাণ নিয়ে আসার চেষ্টায় সফল না হতে পারে সেজন্য কলম্বিয়ার সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে টিভিতে এক বক্তব্যে জানিয়েছেন মাদুরো।
ভেনেজুয়েলার কোনোরকম মানবিক সংকট থাকার কথা প্রেসিডেন্ট মাদুরো অস্বীকার করেছেন এবং বিদেশি ত্রাণ সরবরাহের পরিকল্পনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো নাটক আখ্যা দিয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো গত মাসে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সময় নিজেকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তাকে সঙ্গে সঙ্গেই স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
গুইদো ও তার সমর্থকরা ভেনেজুয়েলায় সংকটে জর্জরিত মানুষের জন্য খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক ত্রাণ ব্রাজিল এবং কলম্বিয়া থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট মাদুরোর আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
কারাকাস থেকে কলম্বিয়া সীমান্ত পর্যন্ত একটি কনভয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুয়ান গুইদো। ভেনেজুয়লার জন্য অর্থসংগ্রহ করতে শুক্রবার কলম্বিয়া সীমান্তে একটি কনসার্টও আয়োজন করা হয়েছে। শনিবারেরই কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল থেকে ত্রাণ সংগ্রহের আশা তাদের।
এরই মধ্যে মাদুরোর সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা এল। বৃহস্পতিবার রাতেই এক ঘোষণায় তিনি বলেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রাজিল সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।”
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ব্রাজিলের সীমান্ত ক্রসিং সাধারণত রাতে বন্ধ হয়ে যায় এবং স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় খোলে। মাদুরোর সীমান্ত বন্ধের ঘোষণার পরপরই ভেনেজুয়েলাবাসীদের অনেকেই ব্রাজিলের একটি শহরে গিয়ে জিনিস মজুদ করতে শুরু করেন।
ব্রাজিল সরকারও ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার ব্রাজিল এক ঘোষণায় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে আনা খাবার এবং ওষুধ পাকারামিয়া শহরে পাওয়া যাবে। ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট গুইদোর সরকার ট্রাকে করে তা নিয়ে যেতে পারবে।